ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুও হল শহরে। গত রবিবার রাতে মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে মারা যান শিলিগুড়ির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রদীপ কর্মকার (৬১)। তিনি সেচ দফতরের সুপারভাইজার ছিলেন। ডেঙ্গির শক সিনড্রম এবং মাল্টি অর্গান ডিফাংশন সিনড্রমে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
প্রদীপবাবুর মৃত্যুর পরে শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ জন। তাছাড়া শিবমন্দির এবং মাটিগাড়ার নিউ পালপাড়াতেও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। শীত পড়লে ডেঙ্গির প্রকোপ কমবে। এমনটাই দাবি করেছিল স্বাস্থ্যদফতর। কিন্তু সংক্রমণ চলছেই শিলিগুড়িতে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শেখর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শীত কিছুটা পড়লেও খুব বেশি পড়েনি। দিনের বেলায় গরম থাকছে। তা ছাড়া ডেঙ্গির বাহক মশা যে ডিম দিচ্ছে তা থেকে যত মশা জন্মাবে সবই ডেঙ্গির বাহক হবে।’’
যদিও শীত আসার পরে ডেঙ্গির সংক্রমণ কমেছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। শিলিগুড়ি হাসপাতালে জ্বরের রোগীর সংখ্যা কমেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সপ্তাহ তিনেক আগেও যেখানে প্রতিদিন শতাধিক জ্বরের রোগী ভর্তি হতেন, সেখানে এখন সংখ্যাটা নেমেছে ৪০ থেকে ৫০ জনে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর অবশ্য প্রদীপবাবুর মৃত্যুর দু’দিন পরেও সে বিষয়ে কিছু জানে না। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘ডেঙ্গিতে আর কেউ মারা গিয়েছে বলে তথ্য আমার কাছে নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
প্রদীপবাবুর পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, ২১ নভেম্বর জ্বর আসায় পরিচিত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ২৩ নভেম্বর তাঁর পরামর্শে রক্ত পরীক্ষা করা হলে র্যাপিড কিটে এনএস ১ পরীক্ষায় ডেঙ্গির জীবাণু ধরা পড়ে। প্লেটলেট সে সময় ছিল ১ লক্ষ ৪০ হাজার। রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক ওষুধ দেন। ২৫ নভেম্বর সন্ধেয় কাশির সঙ্গে রক্ত ওঠায় শিলিগুড়ির কলেজপাড়ার এক নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় প্রদীপবাবুকে। রক্ত এবং প্লেটলেট দুইই দেওয়া হয়। রাতে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে নেওয়া হয় প্রদীপবাবুকে। কিন্তু রাত দেড়টা মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy