প্রতীকী ছবি।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে দু’টি গার্লস হস্টেলের মাঝে যাতায়াতের সরু রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করাতে নিষেধ করায় নিরাপত্তা রক্ষীকে মারধরের অভিযোগ উঠছে সেখানকার এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার পুলিশের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম রণবিজয় পাঠক। তিনি অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক। প্রহৃত নিরাপত্তা কর্মী উপেন্দ্রনাথ সিংহ থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান। রাত পর্যন্ত অবশ্য কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। পরে মেডিক্যাল কলেজে লাগোয়া তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ওই নিরাপত্তা কর্মীকে ডেকে নিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করেন তৃণমূলের স্থানীয় কিছু নেতা। চিকিৎসকের তরফে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হলে নিরাপত্তা কর্মী অবশ্য তা প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে দাবি করেন।
কাদম্বিনী গার্লস হস্টেল এবং নিউ গার্লস হস্টেলের মাঝে যাতায়াতের রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। সে সময় সেখানে কর্তব্যরত নিরাপত্তা রক্ষী উপেন্দ্রনাথবাবু তাঁকে নিষেধ করেন। উপেন্দ্রনাথবাবুর অভিযোগ, ‘‘উনি চিকিৎসক জানতাম না। তা ছাড়া এ ভাবে গাড়ি না রেখে রাস্তা ছেড়ে রাখতে বলি। তিনি বলেন, আমি কে জান?’’ উপেন্দ্রনাথবাবু তা শুনে বলেন, ‘‘ঘরের চাকরের মতো গার্ডকে কথা বলবেন না।’’ তখন হস্টেলের এক ছাত্রী এগিয়ে এসে বলেন, ‘‘ঠিক আছে আমরা চলে যাচ্ছি।’’ এরপর উপেনবাবু গাড়ির নম্বর নোট করতে গেলে চিকিৎসক এসে তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। নিরাপত্তা কর্মীর বাঁ দিকের চোখের কাছে আঘাত লেগেছে। এমনকী সে সময় ক্যাম্পাসের পুলিশ ফাঁড়ির এক কর্মী সামনে ছিলেন। তিনি এগিয়ে গিয়ে কেন ওই কর্মীকে মারধর করলেন চিকিৎসকের কাছে জানতে চান। তাঁকে থানায় নিয়ে আসেন। অভিযোগ না মেলায় আপাতত ছেড়ে দেওয়া হয়।
থানায় আনা হলে চিকিৎসক বলেন, ‘‘ওই কর্মী গালি দিচ্ছিলেন। তাঁর নামে অভিযোগ জানাব বললে ধাক্কা দেন। তখন আমিও ধাক্কা দিয়েছি। মারধর করার অভিযোগ ঠিক নয়। আমার সঙ্গে একজন মেয়ে ছিলেন। তাঁকে ঠেলা দেয়, নানা কথা বলে।’’
হাসপাতালের সুপার মৈত্রেয়ী কর জানান, সব কথাই তিনি শুনেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই নিরাপত্তারক্ষীকে লিখিত অভিযোগ করতেও বলেছি। আইন মেনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের একাংশের তরফেই জানানো হয়, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আগেও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy