কর্মশালা: অভিনেতাদের সঙ্গে চিকিৎসক উজ্জ্বল আচার্য। নিজস্ব চিত্র
পেশায় তিনি চিকিৎসক। নেশা অভিনয়। সেই সঙ্গে রয়েছ পেশাগত কাজের বাইরে সচেতনতার বার্তা দেওয়ার তাগিদ। সেই টানেই ফের টেলিফিল্ম তৈরির কাজে নেমেছেন দিনহাটা হাসপাতালের চিকিৎসক উজ্জ্বল আচার্য।
তাঁর এ বারের কাহিনির বিষয় বন্ধ্যাত্ব নিয়ে সচেতনতা। টেলিফিল্মের পোশাকি নাম, ‘সে আসছে’। তাতে অভিনয় করছেন একঝাঁক চিকিৎসক সহ ৩০ জন। সোম ও মঙ্গলবার ওই শিল্পীদের নিয়ে দু’দিনব্যাপী কর্মশালা হল। দিনহাটা, কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় এ মাসেই শ্যুটিংও শুরু করবেন তাঁরা।
উজ্জ্বলবাবু বলেন, “পেশার বাইরেও কিছু করার তাগিদে ২০১০ সালে টেলিফিল্মের যাত্রা শুরু। কন্যাভ্রূণ হত্যা রোখা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ‘উপকার’ নামে ছবিটি সাড়া ফেলে। তার পর থেকে প্রতিবছরই একটি করে টেলিফিল্ম তৈরি করছি। এ বার সপ্তম টেলিফিল্মে বন্ধ্যাত্ব নিয়ে সচেতনতার বার্তা দিতে চাইছি।”
‘সে আসছে’ কাহিনির শুরু এক বিত্তশালী দম্পতির কলেজ পড়ুয়া একমাত্র ছেলে দেবুর বেহিসেবি জীবনযাপন নিয়ে। ঘটনাচক্রে বিত্তশালী দম্পতি সুদীপ ও মৌলির ওই সন্তান দুর্ঘটনায় মারা যান। তাতেই বদলে যায় দম্পতির জীবনচিত্র। নিজের ছেলেকে অন্যের ছেলের মধ্যে খুঁজে বেড়াতে থাকেন সন্তানহারা মা। তাকে বাঁচানোর প্রয়োজনেই ফের মৌলিকে সন্তানের মা করার ভাবনার সূত্রপাত।
বয়স, শারীরিক সক্ষমতার মত নানা সমস্যায় যা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে ওই বন্ধ্যাত্ব যন্ত্রণা ঘোচাতে পর্দায় উপস্থিত হন ভাড়াটে মা বীথিকা। টেস্টটিউবের মাধ্যমে কৃত্রিম ভাবে ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করা হয় বীথিকার গর্ভে। তাঁর গর্ভেই পুত্র সন্তান প্রসব হয়। ফের অন্ধকার দশা ঘুচিয়ে দম্পতির আলোয় ফেরা শুরু।
সুদীপের চরিত্রে অভিনয় করেছেন উজ্জ্বলবাবু নিজেই। মৌলির চরিত্রে অভিনয় করবেন পায়েল পাল। বীথিকার চরিত্রে কোয়েলি পাল। এ ছাড়াও দিনহাটা হাসপাতালের সুপার রঞ্জিত মণ্ডল, ব্যায়াম বিদ্যালয়ের সচিব বিভুরঞ্জন সাহা সহ অনেকেই তালিকায় রয়েছেন।
রঞ্জিতবাবু বলেন, “অভিনয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ভাল লাগছে।’’ নির্দেশক কল্যাণময় দাস বলেন, “অভিনেতা, অভিনেত্রীর বেশির ভাগই প্রথম টেলিফিল্ম করছেন। কর্মশালায় ক্যামেরার সামনে তাঁদের কেমন ভাবে দাঁড়াতে হবে সে ব্যাপারেই জোর দেওয়া হয়।” কর্মশালার প্রথম দিন শিল্পীদের উৎসাহ দিতে যান কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত উদ্যোগে এমন টেলিফিল্ম তৈরি প্রশংসনীয়। এ সবের মাধ্যমে সচেতনতার প্রসারও সহজ হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy