ভোগান্তি: বছর ঘুরেছে। কিন্তু বদলায়নি ছবি। এখনও এটিএমের সামনে পড়ে লম্বা লাইন। নিজস্ব চিত্র
এখনও শহরের সব এটিএমে নিয়মিত টাকা থাকে না। যদিও বা থাকে, তা হলে বেশির ভাগই পাঁচশো বা দু’হাজারের বড় নোট। যা নিয়ে হিমশিম সাধারণ মানুষ। কোচবিহার শহর তো বটেই, জেলার মহকুমা শহরগুলিতেও একই ছবি। গ্রামে আবার অধিকাংশ এটিএম খারাপ বলেই অভিযোগ।
এক বছর আগে হঠাৎ নোটবাতিলের সময়ে খালি হয়ে গিয়েছিল কোচবিহারের এটিএমগুলি। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, অনেক সময়েই দেখা যেত, কোচবিহারের দিকের এটিএমে টাকা নেই। অথচ সীমানা পেরিয়ে অসম গেলেই মিলে যেতে টাকা। দুই রাজ্যের সীমানাবর্তী এলাকার বাসিন্দারা অনেকেই এ ভাবে কাজ চালিয়েছেন দীর্ঘদিন। কেউ কেউ জানালেন, তার পরে এ দিকের এটিএমগুলিও স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু পুরো স্বাভাবিক এখনও হল না।
গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রথমত, এটিএম থেকে বেরোচ্ছে শুধু বড় নোট। কঞ্চিৎ একশো টাকার দেখা মেলে। ফলে বড় নোট ভাঙাতে গিয়ে নাজেহাল হতে হয় মানুষকে। অনেকেরই বক্তব্য, কলকাতা, মুম্বইয়ের মতো বড় শহরে বড় নোট সহজে ভাঙানো যায়। কিন্তু কোচবিহারের মতো শহরে তা খুবই কঠিন। আর তা যদি মহকুমা শহর বা গ্রামে হয়, তা হলে তো কথাই নেই। একটা নোট ভাঙাতে এক বেলা চলে যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, অনেকেই বলছেন, এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি এটিএম। কোচবিহার জেলায় সব মিলিয়ে এটিএমের সংখ্যা ১৬৮টি। ঘুঘুমারি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গৌতম দত্ত বলেন, “আমাদের এখানে দুটো এটিএম রয়েছে, যেগুলিতে টাকা বেশির ভাগ সময় থাকে না। ফলে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের।”
তৃতীয় অভিযোগ, যে এটিএমগুলি নিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগ রয়েছে, সেগুলি সারিয়ে কাজে লাগানোর প্রবণতাও কম। বাসিন্দাদের দাবি, এমনিতেই জেলায় প্রয়োজনের তুলনায় এটিএম কম। তার উপরে যদি তারও কিছু খারাপ হয়ে পড়ে থাকে, তা হলে খুবই অসুবিধা।
কোচবিহারে লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার অবশ্য বলেন, “নোটবন্দির সমস্যা এখন নেই। যান্ত্রিক সমস্যার জন্য কয়েকটি এটিএম খারাপ হতে পারে। কিন্তু বেশির ভাগই চলছে।” পাশাপাশি তাঁর দাবি, এখন টাকা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। পঞ্চাশ টাকা ও একশো টাকার নোটও এটিএম থেকে পাওয়া যাবে। তেমনটা হলে তিনি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
ফোসিনের সদস্য তথা দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী অবশ্য অভিযোগ করেন, ছোট নোট কোনও এটিএম থেকেই তেমন মিলছে না। ফলে তা নিয়ে সমস্যা বড় আকার নিচ্ছে। তিনি বলেন, “বহু ব্যবসায়ী অভিযোগ জানিয়েছেন। গ্রামাঞ্চলের এটিএমে তো টাকাই থাকছে না।” জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক চাঁদমোহন সাহা বা প্রাথমিক শিক্ষক বিল্লোল সরকারও একই অভিযোগ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy