—প্রতীকী চিত্র।
কেউ উদ্ধার হয়েছেন স্টেশন থেকে। কাউকে পাওয়া গিয়েছে রাস্তায়। এমন মানুষকে বাড়ি ফেরাতে এ বার সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সাহায্য নিচ্ছেন কোচবিহার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি। ইতিমধ্যেই ‘ফেসবুকে’ প্রচারের সাহায্যে এক জনকে বাড়ি ফিরিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছে কমিটি। যদিও কমিটির তরফে সরাসরি কোনও অ্যাকাউন্ট ফেসবুকে নেই। ওই কমিটির চেয়ারপার্সেন ডোরা ভট্টাচার্য নিজের পেজেই ওই ব্যক্তিদের ছবি দিয়ে বাড়ির খোঁজ দিতে আহ্বান করছেন। তিনি বলেন, “সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বহু মানুষ রয়েছেন। দ্রুত তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব। আর যাদের উদ্ধার করা হয়, তাঁরা সঠিক তথ্য দিতে পারেন না। সেক্ষেত্রে ওই মাধ্যম খুব কার্যকরী হবে বলে আমরা আশাবাদী।’’
তিনি জানান, অঞ্জলি লিম্বু নামে এক কিশোরীকে দিন কয়েক আগেই বাড়ি ফেরাতে সমর্থ হয়েছেন। অসমের বাসিন্দা ওই কিশোরী মাদারিহাটের একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত। সেখান থেকেই তাঁকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁর ঠিকানা হয় কোচবিহারের একটি সরকারি হোম। প্রথমে সে তাঁর ঠিকানা ঠিক মতো দিতে না পারায় তাঁর বাড়ি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁকে নিয়ে প্রচার করা হয় ফেসবুকের মাধ্যমে।
পরে অবশ্য মাদারিহাট পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে বাড়িতে পাঠানো হয়। সন্দীপ লামা এক শিশুর বাড়ির ঠিকানা অবশ্য এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিউ কোচবিহার স্টেশন থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাড়ি নেপালে বলে খোঁজ পেয়েছে। বর্তমানে জলপাইগুড়ির একটি হোমে তাঁকে রাখা হয়েছে।
কোচবিহারে শহিদ বন্দনা হোমে রাখা বালিকা বিশ্বকর্মা নামে এক কিশোরীর বাড়ির খোঁজ পেতেও সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সাহায্য নিয়েছেন চেয়ারপার্সন। তিনি জানান, আলিপুরদুয়ার থেকে ওই কিশোরীর ভাষা বুঝতে পাচ্ছেন না তাঁরা। প্রথমটায় তাঁরা ভেবেছিলেন ভুটানে বাড়ি ওই কিশোরীর। পরে অবশ্য এক নেপালিভাষি ব্যক্তির মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন, ওই কিশোরির বাড়ি অসমে। তিনি বলেন, “আদিবাসী ভাষায় কথা বলছে ওই কিশোরী। কেউই ভাল বুঝতে পারছি না। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রচার করছি।” কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “সোশ্যাল নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করা ভাল উদ্যোগ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy