মৃত: সাকের আলি
রাজস্থানে মৃত চাঁচলের শ্রমিক সাকের আলির মৃত্যু নিয়ে পরিজনদের দাবি ও পারিবারিক অবস্থার বিস্তারিত রিপোর্ট নবান্নে পাঠালো প্রশাসন। শুক্রবার চাঁচলের স্বরূপগঞ্জে তাঁর দেহ আসার পরেই এ দিন মালদহ জেলা প্রশাসনের তরফে পরিজনদের হাতে সমব্যথী প্রকল্পের দু’হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত থেকে বার্ধক্যভাতা-সহ যাবতীয় সুযোগ যাতে অভাবী পরিবারটি পায় সেজন্যও উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে প্রশাসন নবান্নে রিপোর্ট পাঠানোয় সাহায্য মিলতে পারে বলেও আশায় বুক বাঁধছেন পরিজনেরা। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার কথা বললেও এখনও তা করে উঠেতে পারেননি পরিজনেরা। তবে সেই প্রস্তুতি চলছে বলে তাদের দাবি। চাঁচলের মহকুমাশাসক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে প্রশাসন কোনও তদন্ত করেনি বা করা সম্ভবও নয়। সাকেরের মৃত্যু নিয়ে পরিজনদের দাবিই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। আর্থিক সাহায্যের বিষয়টি রাজ্য সরকারের বিষয়। তবে পঞ্চায়েতের যাবতীয় সুযোগ যাতে ওরা পায় তা স্থানীয়ভাবে প্রশাসনের তরফে দেখা হচ্ছে।’’
মঙ্গলবার রাজস্থানের জয়পুরের শাস্ত্রীনগর থানা এলাকা থেকে ডেকোরেটর শ্রমিক সাকেরের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার দুপুরে তার দেহ ফেরার পর সন্ধেয় রীতি মেনে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। চার ভাইয়ের মধ্যে সাকের সেজো। বাড়ির পাশে মহানন্দা বাঁধের উপরে এক সময় পানের দোকান চালাতেন তিনি। ২০০৫ সালে বিয়ের করলেও বছর পাঁচেক বাদে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তারপরেই রাজস্থানে চলে যান সাকের। তাঁর এক দাদা আনোয়ারুল হোসেনও রাজস্থানে শ্রমিকের কাজ করেন। আরেক দাদা কলকাতায় শ্রমিকের কাজ করলেও এখন বাড়ি ফিরে পানের দোকান চালান। অন্য একটি পানের দোকান চালান বাবা ও ছোট ভাই। ছোট ওই পানের দোকানের আয়ে কোনওরকমে সংসার চলে। তাই অভাবি পরিবারটিকে সরকারি সাহায্য করা হোক বলে দাবি উঠেছে।
সাকেরের দাদা জাকির এ দিনও বলেন, ‘‘ভাই যে খুন হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। রাজস্থান পুলিশ ঘটনা আড়াল করতে চাইবে। তাই সিবিআই তদন্ত চাই। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে বলেছি, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যেন আমাদের লিখিত আবেদন পৌঁছে দেওয়া হয়।’’ স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য অমল মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা উদ্যোগী হচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy