জালে: কোচবিহার আদালতে ধৃতেরা। নিজস্ব চিত্র
পাসওয়ার্ড হাতিয়ে কোচবিহার ডাকঘর থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতভর অসম-বাংলা সীমান্তের বক্সিরহাট ও লাগোয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেলা পুলিশের তদন্তকারীরা তাদের গ্রেফতার করেছে।
ধৃতদের নাম বিনোদ কুমার, রহিমুল খন্দকার, দিলীপ দে, হোমেশ্বর বর্মন ও মেহেরুল হক। ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি ল্যাপটপ, দু’টি মোবাইল ফোন সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। মেহেরুল ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। সে রহিমুলের তুতো ভাই। বাকিরা সকলেই ডাক বিভাগের কর্মী। সোমবার ধৃতদের কোচবিহার আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “হেফাজতে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”
ধৃতদের মধ্যে বিনোদবাবু জেলার ঘুঘুমারি ডাক সাব ডিভিসনের ইন্সপেক্টর। রহিমুল কোচবিহারেরই রাশিডাঙা ডাকঘরের পোস্টমাস্টার। দিলীপবাবু শীতলখুচির শিবপুরের পোস্টমাস্টার। হোমেশ্বরবাবু ডাকবিভাগের কোচবিহার পশ্চিম সাব ডিভিসনের ওভারসিয়র। দুর্নীতির ওই ঘটনায় তাদের নিয়ে মোট সাতজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
মার্চ মাসে ওই আর্থিক দুর্নীতির ব্যাপারে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। তারপরেই ঘুঘুমারি সাব ডাকঘরের পোস্টমাস্টার সুজিত রায়কে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শুক্রবার কোচবিহারের বাসিন্দা জামিনুর হোসেন নামে এক গাড়ি চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। রহিমুলের গাড়ির চালক হিসেবে দীর্ঘদিন তিনি কাজ করেছেন। তার দু’দিনের মাথায় ওই ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে বেপাত্তা রহিমুল সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রের দাবি, ২০১৪ সাল থেকে ওই চক্র সক্রিয় ছিল।
নয়ছয় হওয়া টাকার অঙ্ক ১০ কোটিরও বেশি হবে বলে প্রাথমিক অনুমান। সিবিআই দফতরেও ওই বিষয়টি জানানো হয়। গত জুন মাসে সিবিআইয়ের একটি দল ঘটনার তদন্তে কোচবিহারে আসেন। মূল অভিযুক্ত রহিমূলের বাড়িতেও তল্লাশি চালান। ডাক বিভাগের কোচবিহারের কর্তারা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy