বড়দিনে সিকিয়াঝোরায় পিকনিক। নিজস্ব চিত্র
পরিচিতি উত্তরবঙ্গের সুন্দরবন নামে। ফি বছর শীতে পর্যটকদের ঢল নামে এখানে। পিকনিক পার্টিরও পছন্দের জায়গা এটি। কিন্তু প্রতিবছরই যথেচ্ছ বক্স বাজিয়ে পিকনিক ও রান্নার আয়োজন হয়। তাই এ বার আগে থেকেই পিকনিক মরসুমের শুরু থেকেই সিকিয়াঝোরায় মাইক বাজানো ও রান্না নিষিদ্ধ করল বনদফতর। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের দমনপুর রেঞ্জের চেকো বিটের অধীন এই পিকনিক স্পট।
কিন্তু কেন এই নির্দেশ?
জঙ্গলের বাফার এলাকার বেশ কিছুটা পড়েছে পিকনিক স্পটে। তাছাড়া সিকিয়াঝোরাতে প্রায় সাতশো মিটার এলাকায় নৌকাবিহারের ব্যবস্থা রয়েছে। যা বেশ রোমাঞ্চকর। পর্যটকদের কাছে এর চাহিদা এতটাই যে দীর্ঘ সময় ধরে নৌবিহারের জন্য অপেক্ষা করেন পর্যটকরা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি কল্যাণ রাই জানান, প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রাখতে জঙ্গল সংলগ্ন সিকিয়াঝোরাতে রান্না বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সন্ধ্যা নামলেই পিকনিক স্পটে হাতি ও অন্য বন্যপ্রাণী আসে।
বড়দিনে সপরিবারের কোচবিহার থেকে এসেছিলেন রমেন চক্রবর্তী। তিনি জানান, ‘‘সিকিয়াঝোরাতে ঘুরতে এসেছি। মনোরম পরিবেশ কোনও শব্দ নেই। আশা করিনি ঘুরতে এসে প্রাকৃতিক সৌর্ন্দযের সঙ্গে শব্দ দূষনহীন পরিবেশ পাব।’’ বারবিশা বাসিন্দা অতুল বর্মনের নেশা পাখি দেখা। এ দিন তিনিও এসেছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে। অতুলবাবু জানান, সিকিয়াঝোরাতে আগুন জ্বলছে না। কোনও জোরে আওয়াজ নেই। শান্তিতে পাখি দেখতে পাচ্ছি।’’
সিকিয়াঝোরার দায়িত্বে থাকা বিট অফিসার সজল কুমার দে জানান, পিকনিক স্পটে ঢোকার সময় যাতে কেউ মদ না খায় সে বিষয় সর্তক করা হচ্ছে। কেউ যাতে আগুন না জ্বালেন সেই বিষয়েও সর্তক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা জানান, রান্না করতে না দেওয়ায় অবশ্য অনেকেই এখানে এসে ফিরে যাচ্ছেন। তবে তাতেও ষথেষ্ট ভিড় রয়েছে। নৌবিহারের আকর্ষণে ভিড় হচ্ছে। রান্না করা খাবার এনে পিকনিক করছেন অনেকে। বনদফতরের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy