Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

দিল্লি সাড়া দেয়নি, বন্‌ধ চলবেই

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালিম্পঙের পে়ডংয়ে ওই বৈঠক হয়। সেখানে বিমল গুরুঙ্গ, জিএনএলএফ প্রধান মন ঘিসিঙ্গ কিংবা জন আন্দোলন পার্টি (জাপ)র নেতা হরকাবাহাদুর ছেত্রী যাননি। মোর্চার তরফে বিনয় তামাঙ্গই নেতৃত্বে ছিলেন

দর্শক: গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মোর্চার মিছিল। বৃহস্পতিবার সুকনায়। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

দর্শক: গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মোর্চার মিছিল। বৃহস্পতিবার সুকনায়। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

প্রতিভা গিরি
কালিম্পং শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৭ ০২:২৩
Share: Save:

বন্‌ধ শিথিল করা কেন দরকার, তা নিয়ে প্রায় ৪ ঘণ্টা আলোচনা হল মোর্চার ডাকা সর্বদল বৈঠকে। কিন্তু দিল্লি থেকে গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে যুৎসই বার্তা মিলছে না। তাই বন্‌ধ শিথিল করলে দলের কট্টরপন্থীরা ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে মোর্চার ভিতরেই। তার উপরে, বন্‌ধ তুলে নিলে পাহাড়ে আন্দোলনেও ভাঁটা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই মোর্চা নেতাদের চাপেই আপাতত বন্‌ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তই গৃহীত হল সর্বদল বৈঠকে। তরাই-ডুয়ার্সে আন্দোলন তীব্র করার সিদ্ধান্তও হয়েছে। বিশেষত, শিলিগুড়িতে আন্দোলনে গতি আনার চেষ্টা করার সিদ্ধান্তও হয়েছে এ দিনের বৈঠকে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালিম্পঙের পে়ডংয়ে ওই বৈঠক হয়। সেখানে বিমল গুরুঙ্গ, জিএনএলএফ প্রধান মন ঘিসিঙ্গ কিংবা জন আন্দোলন পার্টি (জাপ)র নেতা হরকাবাহাদুর ছেত্রী যাননি। মোর্চার তরফে বিনয় তামাঙ্গই নেতৃত্বে ছিলেন। ১৮ জুলাই ফের সর্বদল বৈঠক ঢেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকের পরে বিনয় তামাঙ্গ বলেন, ‘‘বন্‌ধ শিথিলের কথা অনেকে বলেছেন। তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু, দিল্লি থেকে আমরা আলাদা রাজ্যের দাবির ব্যাপারে বার্তাই পাইনি। ফলে, বনধ তুললে ঘরে-বাইরে নানা সমালোচনা হবে। তাই দিল্লি থেকে সঙ্কেত না পাওয়া অবধি বন্‌ধ চলবে।’’ সেই সঙ্গে দিল্লি থেকে কোনও ডাক পেলে সর্বদলে গঠিত সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধিরা সেখানে যাবেন বলেও ঠিক হয়েছে।

তবে এ দিনই পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি জানাতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন বাম বিধায়কেরা। জিটিএ চুক্তির প্রতিলিপি দেখিয়ে তাঁরা রাজ্যপালকে জানান, জিটিএ কী ভাবে কাজ করছে, তার পর্যালোচনার জন্য ত্রিপাক্ষিক কমিটি তৈরির কথা ছিল চুক্তিতেই। সেই কমিটির রিপোর্ট পেশ করার কথা বিধানসভায়। কিন্তু পাঁচ বছরেও কমিটি গড়া হয়নি। বাম বিধায়কদের অভিযোগ, রাজ্য বরং জিটিএ-র কাজে হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি জটিল করেছে। রাজ্যপাল ত্রিপাঠী দার্জিলিঙের পরিস্থিতি নিয়ে দু’দিনেও রাজনাথ সিংহের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাম বিধায়কদের প্রতি রাজ্যপালের আশ্বাস, পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তাঁর সাংবিধানিক এক্তিয়ারের মধ্যে যা করণীয়, তিনি করছেন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী ও শিলিগুড়ির বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পৃথক রাজ্যের দাবি সমর্থনের প্রশ্নই ওঠে না। পাহাড়ে যে ভাবে আন্দোলনকারীরা হিংসাত্মক কার্যকলাপ করছেন, তা-ও মেনে নেওয়া যায় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE