পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হতে শুরু করেছে কোচবিহারে। শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আফরাজুল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ডাকা মিছিলকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে চলে এল সেই দ্বন্দ্ব। জেলা শহর কোচবিহারে প্রায় একই সময়ে আলাদা মিছিল করে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সদস্যরা। একটিতে দলের জেলা যুব সভাপতি অর্ঘ্য রায়প্রধান নিজে ছিলেন। ওই মিছিলে যোগ দেন কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। অন্য মিছিলে সামিল ছিলেন দলের যুব নেতা হিসেবে পরিচিত অভিজিৎ দে ভৌমিকের অনুগামীরা। দলীয় রাজনীতিতে অভিজিৎবাবু বিধায়ক মিহির গোস্বামীর অনুগামী বলেই পরিচিত।
কোচবিহারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীদের সঙ্গে বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং অর্ঘ্য রায়প্রধানের অনুগামীদের বিরোধের কথা একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। অর্ঘ্যবাবু বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে মিছিল করা হয়েছে জেলা শহরে। বিজেপিকে রুখতেই হবে। যারা নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।” পাশাপাশি দাবি করেন, শহরে আর কে কোথায় মিছিল করেছে তা তাঁর জানা নেই। ওই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, “যুব নেতৃত্বের আমন্ত্রণে মিছিলে যোগ দিয়েছি।’’
দলীয় সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে নিজেদের শক্তি দেখাতে সব নেতাই উঠেপড়ে রাস্তায় নেমেছে। শক্তি প্রদর্শনেই নিজেদের অনুগামীদের পঞ্চায়েতের টিকিট মিলতে পারে বলে আশাবাদী তাঁরা। যুব সংগঠনের মধ্যেও সেই বিরোধ শুরু হয়েছে। এ দিন বেলা সাড়ে ৩ টে নাগাদ কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান থেকে মিছিল করেন অর্ঘ্যবাবুরা। সেখান থেকে দু’ কিলোমিটার দূরের গুঞ্জবাড়ি থেকে মিছিল করেন অভিজিৎবাবুর অনুগামীরা। অভিজিৎবাবু বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মিছিল হয়। যে যেখান থেকে পারে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। অন্য কোনও ব্যাপার নেই।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের কোচবিহার জেলার এক নেতা বলেন, “এখনই রাশ না টানলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার ফল ভুগতে হবে।” দলের কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ অবশ্য বলেন, “গোষ্ঠী-কোন্দলের ব্যাপার নেই। যুব-সংগঠন অন্যায়ের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy