বিশাল: মঙ্গলবাড়ি বাঘাযতীন ক্লাবের প্রতিমা। নিজস্ব চিত্র
অতিথি বরণের দায়িত্বে রয়েছেন জাহাঙ্গির শেখ আর হাইদুর রহমান। বাজার একা হাতে সামলাচ্ছেন অসীম ইকবাল।
মণ্ডপ সাজার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছেন জনি শেখরা। আলোকসজ্জা দেখছে রাজু ঘোষ, কুণাল সাহারা।
সব মিলিয়ে পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ির বাঘাযতীন ক্লাবের সরস্বতী পুজোর ব্যস্ততা তুঙ্গে। উত্তরের সবচেয়ে বড় প্রতিমা করছেন তাঁরা, দাবি করলেন জাহাঙ্গির, কুণালেরা।
সব চেয়ে ‘বড়’ সরস্বতী বলে মোড়ে মোড়ে ফেস্টুন ঝুলিয়ে প্রচারও শুরু হয়েছে। সম্প্রতি মালদহেরই এক শ্রমিককে হিংসার শিকার হতে হয়েছিল রাজস্থানে। সেই জেলাতেই সম্প্রদায় নির্বিশেষে পুজোর আয়োজনে মেতেছেন সকলে। এই ঘটনা সারা দেশেই সম্প্রীতির বার্তা দেবে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই এলাকায় দেড় দশক সরস্বতী পুজো করছে বাঘাযতীন ক্লাব। গত পুজোয় বড় দুর্গা প্রতিমা গড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল ইংরেজবাজার শহরের একটি ক্লাব। এ ছাড়া আইহো, বুলবুলচন্ডীতে বরাবরই বড় কালী প্রতিমার পুজো হয়। এ বার দর্শক টানতে বড় সরস্বতী প্রতিমা তৈরির উদ্যোগ বলে জানান উদ্যোক্তারা। প্রতিমা গড়ছেন হবিবপুর ব্লকের মধ্যম কেন্দুয়া গ্রামের নিরঞ্জন সিংহ ও তাঁর ছেলে তাপস সিংহ। বাঁশ, প্লাইবোর্ড দিয়ে গড়া হচ্ছে প্রতিমা। তার উপর প্লাস্টার অফ প্যারিস দিয়ে রঙ করা হচ্ছে।
উদ্যোক্তাদের দাবি, এ বার পুজোর বাজেট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। তবে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বা রাস্তা আটকে সেই চাঁদা তোলা হয় না বলে জানান ক্লাব সদস্যরা। ক্লাবে মোট ৩০০ জন সদস্য রয়েছেন। তাঁদের দেওয়া চাঁদাতেই নাকি ওঠে এই টাকা। দর্শনার্থীরা যাতে বাইরে থেকে প্রতিমা দেখার সুযোগ পান তার জন্য মণ্ডপ গড়ে তোলা হচ্ছে না। রঙ-বেরঙের এলইডি আলো দিয়ে সাজা হবে মণ্ডপ। চারদিন রাখা হবে প্রতিমা। চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আজ, রবিবার পুজোর উদ্বোধন করা হবে। রাজু, কুনাল, জনি, সুরাজ নাদাবেরা বলছেন, “সারা বছর একসঙ্গে থাকি। খেলা, পিকনিক একে অপরকে ছাড়া হয় না। সব উৎসবও কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy