প্রতীকী চিত্র।
বাড়ির মধ্যেই এক মহিলাকে ধর্ষণ করে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি থানার লোহাগঞ্জ এলাকায় ওই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিন সকালে ওই মহিলার রক্তাক্ত নিথর দেহ মাটির বাড়ির বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেন। নিহত মহিলা বাড়িতে একা থাকতেন। কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় দুষ্কৃতীরা অত্যাচার চালিয়ে তাঁকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করে পালিয়েছে বলে আত্মীয়দের একাংশের অভিযোগ। এসডিপিও বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত। তবে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা সম্ভব নয়। ওই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে।
নিহতের স্বামী কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন। এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ফলে বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। বাড়িতে চোলাই মদ বানিয়ে বিক্রি করতেন বলে প্রতিবেশী সূত্রে জানা গিয়েছে। চোলাই খেতে সন্ধ্যা ও রাতে অনেকে মহিলার বাড়িতে আসত। মদ্যপদের অনেকে তাকে কুপ্রস্তাব দিলেও তিনি সাড়া দিতেন না বলে প্রতিবেশীদের দাবি। পুলিশের দাবি, পড়শিদের কয়েকজন জানিয়েছেন, কুপ্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে দুষ্কৃতীরা তাঁকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে এবং পরিচয় গোপন রাখতে মহিলাকে খুনও করা হয়। পাশাপাশি নিহত মহিলার সঙ্গে আত্মীয়দের পারিবারিক সমস্যা থেকেও খুনের ঘটনা কি না, তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
নিহতের মেয়ের অভিযোগ, কিছু দিন আগে রাতে দুষ্কৃতীরা জোর করে বাড়িতে ঢুকতে চেয়ে অত্যাচার করে। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশি বসে। কেউ অত্যাচার করবে না বলে সলিশিতে সিদ্ধান্তও হয়। তারপরে এই ঘটনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy