Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

রেশন তৈরি, অপেক্ষা

জ্যোতিপ্রিয়বাবু এ দিন বলেন, ‘‘পাহাড়ে রেশনের সামগ্রী পাঠাতে দফতর প্রস্তুত রয়েছে। এ দিন ডিস্ট্রিবিউটরদেরও ডাকা হয়েছিল। তাঁদের বলা হয়েছে প্রস্তুত থাকতে। সরকারি নির্দেশ পেলে এবং ডিলাররা চাইলেই পণ্যসামগ্রী তোলা হবে।’’

বৈঠক: চা বাগানের পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরকন্যায় আলোচনায় সৌরভ চক্রবর্তী, মলয় ঘটক, গৌতম দেব ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে। ছবি: স্বরূপ সরকার

বৈঠক: চা বাগানের পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরকন্যায় আলোচনায় সৌরভ চক্রবর্তী, মলয় ঘটক, গৌতম দেব ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে। ছবি: স্বরূপ সরকার

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:১৩
Share: Save:

পাহাড়ে রেশনের সামগ্রী পাঠাতে সব ব্যবস্থা তৈরি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তা পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানালেন খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

বৃহস্পতিবার চা বাগনগুলোর পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরকন্যায় মন্ত্রী গোষ্ঠীর বৈঠকের পর এ কথা জানান তিনি। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও ওই বৈঠকে বলেন, ‘‘ডিলাররা জানিয়েছেন পাহাড়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাঁরা নিশ্চয়ই সমতল থেকে রেশনের সামগ্রী পাহাড়ে মজুত করবেন। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তাঁরা রাজি নন।’’ সে জন্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সময় মতো পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী। তাঁর উপরেই উত্তরকন্যায় থেকে পাহাড়ের পরিস্থিতি ‘মনিটরিং’ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জ্যোতিপ্রিয়বাবু এ দিন বলেন, ‘‘পাহাড়ে রেশনের সামগ্রী পাঠাতে দফতর প্রস্তুত রয়েছে। এ দিন ডিস্ট্রিবিউটরদেরও ডাকা হয়েছিল। তাঁদের বলা হয়েছে প্রস্তুত থাকতে। সরকারি নির্দেশ পেলে এবং ডিলাররা চাইলেই পণ্যসামগ্রী তোলা হবে।’’ খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রীর কথায়, আজ, বললে আজ, কাল বললে কাল তারা সামগ্রী পাঠাতে পুরদস্তুর সব তৈরি করে রেখেছেন। জেলা খাদ্য নিয়ামক, জেলা খাদ্য সরবরাহ আধিকারিকদের দল তৈরি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ডিলারেরা তুলতে চাইছেন না।

খাদ্য সরবরাহ দফতর সূত্রেই জানানো হয়েছে, পাহাড় যখন বন্ধ হয় তখন ডিস্ট্রিবিউটরদের হাতে ১৫ দিনের রেশন মজুত ছিল। তা রয়েই গিয়েছে। তাই যেদিন বলা হলে সেই দিন থেকেই পাহাড়ে রেশন চালু করে দিতে সমস্যা নেই। তার পর বাকি সামগ্রী তোলার কাজ শুরু হয়ে যাবে। বাগরাকোট, ডাবগ্রাম, রাঙাপানি সব জায়গাতই রেশনের সামগ্রী, গাড়ি সব ব্যবস্থাই তৈরি করে রাখা আছে। সব মিলে পাহাড়ে ৬৭৫ টি রেশন দোকান রয়েছে বলে দফতর সূত্রে খবর।

তা হলে পুলিশি নিরাপত্তায় কেন রেশন দোকান খুলে বিলির ব্যবস্থা হচ্ছে না? বৈঠক থেকে জানানো হয়, এখনও পাহাড়ে বিভিন্ন ধরনের হামলা, নাশকতামূলক ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবারও নিবেদিতার স্মৃতি বিজড়িত রায়ভিলাতে হামলার ঘটনার খবর মেলে। সেই আতঙ্কেই ডিলারেরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পণ্যসামগ্রী তুলবেন বলছেন। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘দিন কয়েক হল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। দোকান বাজার শহরের মধ্যে। সেগুলি খুলছে। কিন্তু অনেক রেশন দোকান প্রত্যন্ত এলাকায় রয়েছে। তাই সব দিক ভেবেই ব্যবস্থা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE