প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক দার্জিলিং ট্যুরিস্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজনে পাহাড়ের সব ক’টি পুরসভাকে সামিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিটিএ কেয়ারটেকার বোর্ড। মোর্চা সূত্রে খবর, সেই সিদ্ধান্তের আড়ালে রয়েছে একটি রাজনৈতিক চিন্তাও। বিনয় তামাঙ্গ ও অনীত থাপা জুটি চাইছে, এই উৎসবকে সামনে রেখে মিরিক ছাড়া পাহাড়ের সব পুরসভার দখল নিতে। সব ঠিক থাকলে ২৯ নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বিমল গুরুঙ্গপন্থী চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনবে বিনয়-অনীত শিবির।
আলোচনাপন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সূত্রের খবর, ২৯ মে দার্জিলিং পুরসভায় বোর্ড গঠন হয়। তারপরে হয়েছিল কালিম্পং ও কার্শিয়াঙের। বিধি অনুযায়ী, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে ৬ মাস না হলে অনাস্থা আনা যায় না। সেই হিসেবে ২৯ নভেম্বর ৬ মাস পূরণ হবে দার্জিলিং পুরসভার। তার পরদিন কালিম্পং পুরসভায় অনাস্থা আনা হবে। জিটিএ-র তদারকি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান অনীত থাপা বলেন, ‘‘পুরবিধি মেনেই অনাস্থার দিন ঠিক হয়েছে।’’ তাঁর কথায়, দ্রুত নতুন বোর্ড গড়ে পুর এলাকায় উন্নয়নে গতি আনতে হবে। দার্জিলিং ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিস্ট ফেস্টিভ্যালেও পুরসভাকে সামিল করা হবে।
পুরসভাগুলোকে সামনে রেখে শহর এলাকায় রাস্তা, পানীয় জল, স্বনিযুক্তি প্রকল্পের কাজে গতি এনে আলোচনাপন্থীরা বেকার যুবক-যুবতীদের কাজের সুযোগ করে দিতেও চাইছেন। ইতিমধ্যেই মিরিকে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড সেই কাজ করে শহরের কর্মহীন যুব সম্প্রদায়কে কাছে টানতে পেরেছেন বলে তাঁদের দাবি। মিরিক পুরসভার চেয়ারম্যান লালবাহাদুর রাই বলেন, ‘‘কাজের মধ্যে থাকলে সকলের মন ভাল থাকে। এটা সব পুরসভায় তাড়াতাড়ি করাতে হবে।’’
ঘটনাচক্রে, বিনয়-অনীত শিবিরের নেতারাও সে কথা মানছেন। সেই কারণে পাহাড়ে গ্রামাঞ্চলে ১০০ দিনের কাজে গতি আনার জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে রোজই যোগাযোগ রাখছেন তাঁরা। পুরবোর্ড দখল করে শহরের যুব সম্প্রদায়কে নানা কাজে যুক্ত করতেও টানা ৭ দিনের উৎসবের পরিকল্পনা করা হয়েছে। জিটিএ সূত্রের দাবি, তাদের আর্জি মেনে রাজ্যও পাহাড়ে বেকার যুবক-যুবতীদের ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং’-এর কাজে গতি আনতে উদ্যোগী হয়েছে। পাহাড়ে প্রথম ‘ইন্ডাস্ট্রি মিট’-এর আয়োজনের ক্ষেত্রেও পুরসভাগুলোকে পাশে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিটিএ তদারকি বোর্ড।
আড়ালে থাকলেও গুরুঙ্গের কাছে সব খবরই পৌঁছচ্ছে। তবে সিংহভাগ কাউন্সিলর বিনয়-অনীত শিবিরের দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াং পুরবোর্ড গুরুঙ্গপন্থীদের হাতছাড়া হওয়াটা প্রায় নিশ্চিত। শেষ মূহূর্তে গুরুঙ্গ শিবির কোনও চাল দিয়ে কিস্তিমাতের চেষ্টা করেন কি না সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy