প্রায় ছ’মাস পরে ফের পাহাড়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ৮ জুন পাহাড়ে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে পাহাড়ে আন্দোলনে নামে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। পাহাড়ের রাস্তা অবরোধ করে গাড়ি জ্বালিয়ে, বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পাহাড়।
ক’দিন পরে লাগাতার বন্ধের ডাক দেয় মোর্চা। পর পর বিস্ফোরণ, গ্রেনেড হামলা, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলে। ১২ জন মোর্চা সমর্থকের মৃত্যু হয়। একজন পুলিশ অফিসার সহ ৩ পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন ৩ মহিলা পুলিশকর্মী সহ ১৪ জন। ইউএপিএ সহ নানা মামলা রুজু হওয়ায় বিমল গুরুঙ্গ আত্মগোপন করেন।
ইতিমধ্যে মোর্চার কো-অর্ডিনেটর হওয়ার সুবাদে বিনয় তামাঙ্গ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে জোর দেন। পরে অনীত থাপাও তাঁর সঙ্গে যোগ দেন। দু’জনকে কেয়ারটেকার বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। দু’জনে পাহাড়ে ঘুরে প্রচার চালিয়ে গুরুঙ্গপন্থীদের বেশির ভাগকেই নিজের দিকে টেনে আনেন।
এর পরেই পাহাড়ে পর্যটক টানতে উৎসবের আয়োজন করেন বিনয়-অনীত। সেই মতো তাঁরা গত শনিবার কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানান। মুখ্যমন্ত্রী সম্মতি দেওয়ায় পাহাড়েও তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড়ে আসার কথা। সূত্রের খবর, সফরের কথা মাথায় রেখে পাহাড়ে বাড়তি নজরদারি করে আরও গোয়েন্দা ও প্রশিক্ষিত বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy