জখম: ময়িম শেখ। নিজস্ব চিত্র
কলাই জমি পাহারা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল মাচা। আর সেই মাচাতে বসেই চলছিল জুয়া খেলা। প্রতিবাদ করায় জমির মালিককে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠলো এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবককে পাল্টা মারধর করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। বুধবার রাতের ওই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল মালদহের ইংরেজবাজার থানার চণ্ডীপুর গ্রামে। ঘটনায় আক্রান্ত জমির মালিক ময়িম শেখ ও অভিযুক্ত যুবক মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ দিন রাতে দু’পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
কালীপুজোর পর থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জুয়া খেলার রমরমা চলছে বলে অভিযোগ। কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা ময়িম শেখ তিন বিঘা জমিতে কলাই চাষ করেছেন। জমি পাহারা দেওয়ার জন্য বাঁশের মাচা তৈরি করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই মাচাতে একদল যুবক প্রতিদিন রাতে জুয়ার আসর বসাত। এ দিন রাতেও চলছিল জুয়ার আসর। সেই সময় জমিতে যান ময়িম শেখ। মাচা থেকে নেমে অন্যত্র জুয়া খেলতে বললে এক্রামুল শেখ নামে এক যুবক গালিগালাজ শুরু করে দেয়। তারপর হাঁসুয়া দিয়ে ময়িম শেখের মাথায় আঘাত করে বলে অভিযোগ। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্ত যুবক এক্রামুলকে ধরে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়িম শেখের আঘাত গুরুতর। তাঁর মাথায় ১১টি সেলাই পড়েছে।
ঘটনায় আক্রান্ত ময়িম শেখ বলেন, “ওরা জমিতে জুয়ার আসর বসানোয় জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। তাই তাদের অন্যত্র যেতে বলি। তখনই আমার উপরে হাঁসুয়া নিয়ে হামলা চালানো হয়।” অভিযোগ অস্বীকার করে এক্রামুল পাল্টা বলেন, “আমি জুয়া খেলার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। তারপরেও আমাকে গালিগালাজ করে মারধর করা হল। পুলিশে পুরো ঘটনাটি জানিয়েছি।”
গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান গৌতম চৌধুরী বলেন, “পুলিশকে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy