Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

খোলা কারখানা ফের খুলতে বৈঠক

কারখানা খুলে গিয়েছে সকালেই৷ শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকও জানতেন, কারখানা খুলেছে। অথচ, কী করে সেই কারখানাটি খোলা যায়, তা নিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের নিয়ে শ্রম দফতরের কর্তারা বৈঠকে বসলেন তার প্রায় আড়াই ঘন্টা পর৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৭ ০২:৫০
Share: Save:

কারখানা খুলে গিয়েছে সকালেই৷ শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকও জানতেন, কারখানা খুলেছে।

অথচ, কী করে সেই কারখানাটি খোলা যায়, তা নিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের নিয়ে শ্রম দফতরের কর্তারা বৈঠকে বসলেন তার প্রায় আড়াই ঘন্টা পর৷ প্রায় চল্লিশ মিনিট বৈঠক চলার পর আচমকাই দুই পক্ষের কাছে খবর এল, যার জন্য এত আয়োজন, সেই কারখানা খুলে গিয়েছে আগেই৷ যে খবর পাননি তাঁরা৷ মুখ বাঁচাতে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় বৈঠক৷ রাজগঞ্জের সার কারখানা তিস্তা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড খোলা নিয়ে শুক্রবার এমনই ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়িতে৷

মালিক শ্রমিক বিবাদের জেরে গত ৪ মে বন্ধ হয়ে যায় রাজগঞ্জের একমাত্র সার কারখানা তিস্তা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড৷ ওই দিনই কারখানায় সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেয় মালিকপক্ষ৷ যার জেরে ক্ষোভ ছড়ায় শ্রমিকদের মধ্যে৷ কারখানার গেটের সামনে একাধিক বিক্ষোভও
করে তারা৷

পাশাপাশি শ্রম দফতরও কারখানাটি খোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়৷ দিন কয়েক আগে উত্তরকন্যায় শ্রম দফতরের কর্তারা মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে আলোচনাতেও বসে৷ কিন্তু তাতেও কোন সমাধান সূত্র বের হয়নি৷

এর পর শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটায় মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডাকেন জলপাইগুড়ির ডেপুটি লেবার কমিশনার দফতরের কর্তারা৷ বৈঠকে মালিকপক্ষ উপস্থিত না হলেও আইএনটিটিইউসি-র স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকদের দু’টি সংগঠনের নেতারা যোগ দেন৷ বৈঠকে কী হয়, জানতে ডিএলসি দফতরে গিয়েছিলেন ৫০-৬০জন শ্রমিকও৷

মালিকপক্ষ না আসায় কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করে দেন জলপাইগুড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনার
রথীন সেন৷

কিন্তু রথীনবাবু জানান, আগের দিন রাতেই মালিক পক্ষ তাঁকে ফোন করে জানিয়েছেন, যে শুক্রবার সকালেই কারখানা খুলে যাবে। সে কথা তিনি বৈঠকে বলেন বলেও জানা গিয়েছে। আইএনটিটিইউসি-র নেতারাও সে কথা জানতেন বলে জানিয়েছেন।

তা হলে বৈঠক করার কারণ কী? সকলেরই বক্তব্য, মালিক পক্ষ মুখে জানিয়েছিলেন, কিন্তু চিঠি দেননি, তাই বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠকের মাঝপথে মালিকপক্ষ ই মেল করে কারখানা খোলার কথা জানালে বৈঠক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কারখানার ম্যানেজার সন্তোষকুমার মোহান্তও বলেন, ‘‘কাউকে হয়রান করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়৷ সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে বিধায়ক ও স্থানীয় নেতাদের আশ্বাস পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই কারখানা খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়৷ সবাইকেই ফোন তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Moloy Ghatak Meeting factory
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE