Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

১২ লাখ টাকার কয়েন ফেলে ৮ লাখ টাকার নোট নিল ডাকাতরা

ব্যাঙ্কের ভল্ট ভাঙল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু তারপরেও বস্তায় বাঁধা ১০-১২ লাখ টাকার খুচরো তারা ফেলে গেল। নিয়ে গেল ৮ লাখ টাকার নোট। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘খুচরো কিন্তু চালানো সোজা। নোটের নম্বর থাকে। তবু বাজারে এখন এত খুচরোর সমস্যা যে, দুষ্কৃতীরা খুচরো নিতে পারেনি।’’

উপেক্ষিত: পড়ে রয়েছে বাক্সবন্দি কয়েন। নিজস্ব চিত্র

উপেক্ষিত: পড়ে রয়েছে বাক্সবন্দি কয়েন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৭
Share: Save:

ব্যাঙ্কের ভল্ট ভাঙল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু তারপরেও বস্তায় বাঁধা ১০-১২ লাখ টাকার খুচরো তারা ফেলে গেল। নিয়ে গেল ৮ লাখ টাকার নোট। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘খুচরো কিন্তু চালানো সোজা। নোটের নম্বর থাকে। তবু বাজারে এখন এত খুচরোর সমস্যা যে, দুষ্কৃতীরা খুচরো নিতে পারেনি।’’

তা থেকেই দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টাও করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে মনে করা হচ্ছে, দুষ্কৃতীরা এলাকারই বাসিন্দা।

বুধবার রাতে আলিপুরদুয়ার শহরের চৌপথীর কাছেই একটি বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাঙ্কে চুরির ঘটনা ঘটেছে। অন্তত ৮ লাখ টাকা ডাকাতি হয়েছে বলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বিপ্লব রায় জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে ৬টা নাগাদ ব্যাঙ্ক বন্ধ করে তাঁরা চলে যান। সকালে ব্যাঙ্ক খুলে দেখেন ভল্টটি ভাঙা। তবে ওই ঘরটিতে ১০-১২ লক্ষ টাকার কয়েন রয়েছে। কয়েন গুলি দু’টি বড় ট্রাঙ্ক ও তিন চারটি বস্তায় ভরা ছিল। সেগুলি চোরেরা ধরেনি বলে কর্তৃপক্ষের ধারণা।

গত নভেম্বরেই শহর সংলগ্ন দমনপুর এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভল্ট গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ডাকাতি হয়েছিল। সেই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফের দু’মাসের মধ্যে শহরের মধ্যে ব্যাঙ্কে চুরি ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: অগ্নি-৫ ছুড়ল ভারত, অস্বস্তি বাড়ছে চিনের

বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাঙ্কটি শহরের মারোয়াড়ি পট্টি এলাকায় অবস্থিত। বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাঙ্ক খুলে কর্মীরা দেখেন ব্যাঙ্কের ভল্টটি ভাঙা। পাশে থাকে কয়েন ভর্তি একাধিক ট্রাঙ্ক ও বস্তা থাকলেও তা ছুঁয়েও দেখেনি চোরেরা। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ জানান, ব্যাঙ্কটিতে সিসিটিভি নেই। নৈশপ্রহরী থাকলেও তিনি ব্যাঙ্কের বাইরে ছিলেন। লোহার কোনও ভারি বস্তু দিয়ে জানলা ভাঙা হয়েছে। তারপরে ভল্টটি ভাঙা হয়েছে।

ব্যাঙ্কের নৈশ প্রহরী নবকুমার রায় অবশ্য কিছু বলতে চাননি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত নভেম্বর মাসে দমনপুর ব্যাঙ্কে চুরির ঘটনার সঙ্গে আলিপুরদুয়ারের ব্যাঙ্ক ডাকাতির প্রাথমিক ভাবে কোনও মিল পাওয়া যাচ্ছে না। তদন্তের স্বার্থে নৈশপ্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বারবার শহরে অপরাধমূলক ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Money Stolen Bank Miscreants
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE