পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তে ৩৫টি জায়গায় দিনভর কর্মীদের পিকেটিং করার নির্দেশ দিলেন মোর্চা নেতৃত্ব। রাতভর কর্মীদের বেশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
দলীয় সূত্রের খবর, তিন দিন ধরে পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশি টহল বেড়েছে। ধরপাকড় চলছে। বৃহস্পতিবারই সোনাদায় এলাকার এক প্রাক্তন জিটিএ সদস্য-সহ পাঁচটি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ‘কাউন্টার ইন্সারজেন্সি ফোর্সে’র সাঁজোয়া গাড়ি এবং জওয়ানদের সামনে রেখে টহল চলছে। এই অবস্থায় পাহাড়ি রাস্তায় গাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ রোখার জন্যই এই পিকেটিংয়ের সিদ্ধান্ত।
তবে মুখ এ কথা বললেনও আদতে জায়গায় জায়গায় জমায়েত তৈরি রাখতে চাইছেন মোর্চা নেতৃত্ব। পুলিশের অভিযানের সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নামা, খবর পৌঁছানো বা প্রতিবাদের জন্য এই ব্যবস্থা।
দার্জিলিঙের ১১টি, কার্শিয়াঙের ৮টি, কালিম্পঙের ১০টি, মিরিকের ৪টি এবং মংপুর ২টি এলাকায় মোর্চা কর্মীরা থাকবেন। বৃহস্পতিবার থেকেই ওই কাজে নেমে পড়ার জন্য মোর্চা নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে তাঁরা রাস্তায় নামবেন। ৪০-৫০ জন কর্মী বেছে তাঁদের নিয়ে দল গঠন করা হচ্ছে।
দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘পুলিশি অভিযান বাড়িয়ে আমাদের আন্দোলন দমন করার চেষ্টা হচ্ছে। কোথাও কোনও গাড়িতে হামলা হলেই মোর্চার নাম জড়ানো হচ্ছে। তাই কর্মীরা রাস্তায় পিকেটিং করবেন। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী।’’ তিনি জানান, ‘‘পুলিশ গত ৭২ ঘণ্টায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, আমাদের সভাপতি বিভিন্ন এলাকায় স্বাভাবিক ভাবে যাতায়াতই করতে পারছেন না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy