আলোচনায়: রায়গঞ্জে দেখা মিলছে এই ফ্লেক্সেরই। —নিজস্ব চিত্র।
মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করার পর উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শুভ্র রায়চৌধুরীও দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এরপর মুকুলবাবু আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেও শুভ্রবাবু এখনও পর্যন্ত সেই পথে হাঁটেননি। সেই শুভ্রবাবুর ছবির সঙ্গে মুকুলবাবুর ছবি দেওয়া একাধিক ফ্লেক্সে রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা ছেয়ে গিয়েছে।
বিজেপির যুব সংগঠন যুব মোর্চার জেলা সহ সভাপতি অভিজিত যোশীর সৌজন্যে শহরের মোহনবাটি, দেহশ্রীমোড়, বিধাননগর মোড়, রমেন্দ্রপল্লি, শক্তিনগর, মিলনপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় লাগানো শতাধিক ফ্লেক্সে মুকুলবাবু, শুভ্রবাবুর ছবি ছাড়াও নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষেরও ছবি রয়েছে। কিন্তু ওই ফ্লেক্সে জায়গা পাননি বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের ছবি। উল্লেখ্য, এই শুভ্রবাবু এক সময়ে বিজেপিতেও ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন বিজেপির জেলা সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। তখন শুভ্রবাবুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত ছিলেন নির্মলবাবু। এ বার মুকুলবাবুর হাত ধরে সেই শুভ্রবাবুর ফের বিজেপিতে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে ওঠায় দলে নতুন করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আবহ তৈরি হয়েছে।
নির্মলবাবুর দাবি, ‘‘শুভ্রবাবুর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। ওঁনাকে দলে ফিরতে হলে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আবেদন করতে হবে। রাজ্য নেতৃত্ব সম্মতি দিলে তবেই তিনি দলের কাজকর্ম শুরু করতে পারবেন। রাজ্য নেতৃত্ব এমনই নির্দেশ দিয়েছেন। দলের অনুমতি না নিয়ে যে নেতা বিজেপির নাম করে শুভ্রবাবুর ছবি লাগিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
শুভ্রবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমি আগেই বলেছি, মুকুলবাবু যেখানে যাবেন, আমিও সেখানে যাব। তাই আমার আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।’’
অভিজিতবাবুর দাবি, শুভ্রবাবু বর্তমানে মুকুলবাবুর অনুগামী। শুভ্রবাবুর মতো নেতা ফের সক্রিয় হয়ে উঠলে জেলায় বিজেপি শক্তিশালী হবে. সেই কারণেই তিনি শহরের বিভিন্ন এলাকায় মুকুলবাবুর সঙ্গে শুভ্রবাবুর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স লাগিয়েছেন.
২০১৫ সালের শেষের দিকে বিজেপির জেলা সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ ঘনিষ্ঠ শুভ্রবাবু। দিলীপ ঘোষ বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পেতেই শুভ্রবাবুর জায়গায় নির্মলবাবুকে ওই পদে বসান। এরপরেই ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর অনুগামী বলে পরিচিত বিজেপির শতাধিক নেতা কর্মীকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন শুভ্রবাবু। কিন্তু মুকুলবাবু তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করার পরেই সুর বদলে তিনি দলে গুরুত্ব ও মর্যাদা পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যেই মুকুলবাবু যেদিকে যাবেন, তিনিও সেইদিকে যাবেন বলে ঘোষণা করেন শুভ্রবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy