নাবালিকার মৃত্যু নিয়ে রহস্য ক্রমশ বাড়ছে। জলপাইগুড়ির গোমস্তপাড়ায় বৃহস্পতিবার বিকেলে উদ্ধার হয়েছিল সাত বছরের ওই শিশুকন্যার দেহ।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের কাছে ওই বালিকার বাড়ির লোকেরা বলেছিলেন, চার বছরের ভাইয়ের সঙ্গে খেলতে খেলতে ফাঁস লেগে তার মৃত্যু হয়৷ কিন্তু তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই তারা বালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় অভিযোগ করেছেন৷ এ দিনই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ওই নাবালিকার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ির গোমস্তপাড়ায় ওই বালিকার মৃত্যুর পর থেকেই রহস্য দানা বাঁধে৷ কিন্তু ঘটনার তদন্তে নেমে শুরু থেকেই পুলিশকর্মীদের মনে নানা প্রশ্ন আসতে শুরু করে৷ প্রথমত, মৃত্যুর প্রায় তিন-সাড়ে তিন ঘন্টা পর কেন পুলিশকে খবর দেওয়া হল? দ্বিতীয়ত, যেখান থেকে সে গলায় ফাঁস দিয়েছিল, ততটা উঁচুতে ওইটুকু মেয়ে উঠল কী করে, তার কোনও উপযুক্ত জবাব মেলেনি। বালিকার বাড়ির লোকেরা দাবি করেছেন, এতটুকু শিশুর মৃত্যুর পরে শোকে ভেঙে পড়েছিল গোটা পরিবার। তাই পুলিশকে খবর দিতে দেরি হয়ে যায়।
বালিকার মা জানান, তাঁর মেয়ে টিভিতে অপরাধীদের নিয়ে নানা সিরিয়াল দেখতে ভালবাসত। তাই সেই দেখে খেলতে গিয়েই নিজের গলায় ফাঁস লেগে গিয়েছিল বলে ভেবেছিলেন তাঁরা। তবে দুপুরে শিশুর বাড়ির লোকেরা মর্গে দেহটি দেখার পর সন্দেহ করতে শুরু করেন, ধর্ষণ করে তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে৷ তাই শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যায় তাঁরা পুলিশের কাছে সেই অভিযোগ দায়ের করেন।
বালিকার বাড়ির লোকেরা জানান, বৃহস্পতিবার তাঁদের বাড়ির পাশেই একটি জমিতে কয়েক জন কাজ করছিলেন৷ দুপুর দু’টো নাগাদ তাঁদের একজন এসে জল চায়৷ ওই শিশুটি তাকে জল দেয়৷ এদিন জলের খালি বোতলটি বাড়ির এক কোণ থেকে উদ্ধার হয়৷ কিন্তু ওই জলের বোতল কে ফেরত দিয়ে গিয়েছে তা বাড়ির কেউই বলতে পারেননি। অনুমান, যিনি ওই বোতল ফেরত দিতে এসেছিলেন, তিনি ওই বালিকার হাতেই তা দেন। তারপরে তিনিই ওই বালিকাকে ধর্ষণ করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে৷ তাঁরা ময়না তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy