শনিবারেও বিক্ষোভ রায়গঞ্জে। নিজস্ব চিত্র।
শনিবার সকাল থেকেই বন্ধ পালিত হচ্ছে রায়গঞ্জে। ক্ষতিপূরণের দাবিতে ব্যবসায়ী, গাড়িচালক থেকে সাধারণ মানুষ এ দিন রায়গঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখান। রায়গঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও সুপারমার্কেটের সামনে টায়ার পোড়ান। বাঁশ ফেলে রাস্তা অবরোধ করেন।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। এ দিন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি মিছিলও বের করা হয়। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসাও হয়। তবে এ দিন বড়সড় কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: ঋণ শুধতে কিডনি ‘বিক্রি’
গত ৯ জুলাই রায়গঞ্জের বাসস্ট্যান্ডে দুই আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং দুই মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় তিন যুবক এবং বেশ কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ শুধু তিন যুবককেই গ্রেফতার করে। এক সপ্তাহ কেটে গেলেও বাকি অভিযুক্তদের ধরতে না পারায় ক্ষোভের আগুন জ্বলছিল ভিতরে ভিতরে। শুক্রবার সেই রোষের আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা রায়গঞ্জে। উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১২টি সংগঠনের কয়েক হাজার আদিবাসী শহরে জড়ো হয়। তারা মিছিল করে শহরে ঢোকে। তার পরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। আদিবাসীরা শহরের দোকান, হোটেলগুলিতে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালায়, আগুন ধরিয়ে দেয়। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।
আদিবাসীরা শহরে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়ে দোকানে ভাঙচুর করার প্রতিবাদে পাল্টা পথ অবরোধ ও বিক্ষোভে নামেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এ দিন ২৪ ঘণ্টার ব্যবসা বন্ধের ডাকও দেন তাঁরা। পরিস্থিতি খুব একটা উত্তপ্ত না হলেও শহরের বিভিন্ন রাস্তায় প্রতিবাদে সামিল হন ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিও জানান তাঁরা।
পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর কুণ্ডুর দাবি, ‘‘পুলিশের নজরদারি ঠিক থাকলে যেমন ধর্ষণের ঘটনা ঘটত না, তেমনই সব অভিযুক্ত গ্রেফতার হলে এদিন আদিবাসীরা শহরে তাণ্ডব ঘটাত না। তাই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জেরেই এদিন আদিবাসীরা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ব্যবসায়ীদের লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পত্তি নষ্ট করল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy