Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে উত্তর

রবিবার রাতে শিলিগুড়ির তাপমাত্রা নেমে যায় চার ডিগ্রির কাছাকাছি। দার্জিলিঙে শূন্যে। এ দিন উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধনে এসে এত ঠান্ডার কথা মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন।

শীতে জবুথবু উত্তরবঙ্গ।

শীতে জবুথবু উত্তরবঙ্গ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৪৫
Share: Save:

সন্ধ্যার পর থেকেই তাপমাত্রা দ্রুত নামছে। রাতে দার্জিলিং ‘শূন্য’। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলায় পারদ কখনও পাঁচ, কখনও চারে গিয়ে ঠেকছে। আর সেই শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ। দিনভরও হিমেল হাওয়া আর কাঁপুনি থেকে নিস্তার নেই।

রবিবার রাতে শিলিগুড়ির তাপমাত্রা নেমে যায় চার ডিগ্রির কাছাকাছি। দার্জিলিঙে শূন্যে। এ দিন উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধনে এসে এত ঠান্ডার কথা মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন। সন্ধ্যার পর রাস্তায় লোকজন কমে আসছে। বিধানমার্কেট শেঠশ্রীলাল মার্কেট, হংকং মার্কেট প্রায় ফাঁকা। শুধু ভুটিয়া মার্কেটে শীতের পোশক কিনতে কিছুটা ভিড় জমে।

ঠান্ডায় কাবু জলপাইগুড়িও৷ শৈত্যপ্রবাহ চলছে এই জেলায়৷ গত পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে সোমবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা৷ আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, সোমবার জলপাইগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে ছয় ডিগ্রি কম৷

গত ২৪ ঘণ্টায় মালদহ জেলায় তাপমাত্রা নামেছে আগের চেয়ে আরও দুই ডিগ্রি। সোমবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাত্র পাঁচ ডিগ্রিতে নেমেছে।

স্বাভাবিকের থেকে এ দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাত ডিগ্রি কম। দিনের বেলা ঝকঝকে রোদ উঠলেও কনকনে ঠান্ডা থাকছেই। প্রচণ্ড ঠান্ডায় জেলাবাসী কার্যত ঘরবন্দি। সন্ধ্যা নামতেই বন্‌ধের চেহারা নেয় বিভিন্ন এলাকা। চা বিক্রেতা মাধব সরকার বলেন, “ঠান্ডায় মানুষ গরম চা খেতে পছন্দ করেন। তবে ঘর থেকে মানুষ বের না হওয়ায় বিক্রি একেবারে কমে গিয়েছে।”

রায়গঞ্জের মোহনবাটী হাইস্কুলের আবহওয়া কেন্দ্র সূত্রের খবর, সোমবার রায়গঞ্জ-সহ উত্তর দিনাজপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দিনভর কনকনে উত্তুরে বাতাস বয়েছে।

সকাল থেকেই ঠান্ডা জাঁকিয়ে পড়েছিল কোচবিহারে। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল সাড়ে ৪ ডিগ্রি। সে দিক থেকে সোমবারই কোচবিহারে শীতলতম দিন। সকাল ১০টার পরে অবশ্য রোদ উঠতে শুরু করে। বিকেলে আবার ঢাকা পড়ে যায় সূর্য। কনকনে হাওয়া বইতে শুরু করে। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ মৌসম সেবা কেন্দ্রের নোডাল অফিসার শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উত্তরবঙ্গ জুড়েই তাপমাত্রা এ দিন সবচেয়ে কম ছিল। এই সময় আলু চাষের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।”

জলপাইগুড়ির আবহাওয়া দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি জলপাইগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নেমেছিল৷ তার পর এদিন সেই তাপমাত্রা নামল ৪ ডিগ্রিরও নীচে৷ দফতরের এক কর্তা বলেন, সোমবার জলপাইগুড়িতে শৈত্যপ্রবাহ চলেছে৷ আগামী তিন দিন ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের সম্ভবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য, কুয়াশা কম হলে এবং ঝকঝকে রোদ উঠলে ঠান্ডা বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে শীতলতম বায়ু বয়ে আসার ফলেই জলপাইগুড়ি জেলায় এই অবস্থা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

North Bengal Cold wave
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE