জ্বালানি বাঁচাতে নিজস্ব চিত্র
জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্য নিয়েছে আলিপুরদুয়ার ডিপোর কর্মীরা। মাসে চার লক্ষ্য টাকা জ্বালানি সাশ্রয়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার আলিপুরদুয়ার ডিপো বাস চালকরা আগেও জ্বালানি সাশ্রয় করে রেকর্ড করেছেন। মাঝে নানা কারণে তা শিথিল হয়ে পড়েছিল বলে কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন। ফের মাস কয়েক ধরে ওই ডিপোয় বোর্ড টানিয়ে জ্বালানি সাশ্রয়ের বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে চালকদের।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় সংস্থার বোর্ডের চেয়ারম্যান মিহির গোস্বামী জানান, তেল সাশ্রয়ের জন্য সমস্ত ডিপোতে বলা হয়েছে। যে ডিপোর চালকরা তেল সাশ্রয় করবেন তাঁদের বোর্ডের তরফে শংসাপত্র দেওয়া হবে। সংস্থার বোর্ড অফ ডিরেক্টরের অন্যতম সদস্য মৃদূল গোস্বামী বলেন, “২০১৪-তে সংস্থা জ্বালানি সাশ্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। চালকরা গাড়ি চালানোর প্রাথমিক কিছু নিয়ম মেনেছিলেন। তাতেই রেকর্ড পরিমাণ তেল সাশ্রয় সম্ভব হয়েছিল।’’
আলিপুরদুয়ার ডিপো সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭টি রুটে ৬০টি বাসের মধ্যে পঞ্চাশটি বাস চলে। আলিপুরদুয়ার ডিপোর পিছনে মাসে তেল খরচ হয় প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। ২০১৪-তে চালকরা কিছু নিয়ম মেনে গাড়ি চালানোয় তেল সাশ্রয় হয়েছিল। ফলে খরচও কমেছিল।
কীভাবে এই তেল সাশ্রয় সম্ভব? কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, পেট্রোলিয়াম কনর্জাভেশন অ্যান্ড রিসার্চ আ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শেই বেশ কিছু নিয়ম সংস্থার আলিপুরদুয়ার ডিপোতে ফ্লেক্সে টাঙানো হয়েছে। যেমন, অকারণে গাড়ি স্টার্ট না রাখা, সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমির মধ্যে রাখা, প্রতি স্টপেজে যাত্রী ওঠানামার জন্য স্বল্প সময় দাঁড়ানো। পাশাপাশি, ক্লাচ প্যাডেলে সবসময় পা না রাখার পরামর্শও নেওয়া হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার ডিপোর আধিকারিক অসিত ঠাকুর বলেন, “চালকেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যাতে পকেট ডায়েরি রাখেন। কবে কোন গাড়ি চালিয়ে কত কিলোমিটার গেলেন তা লিখে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ সেই হিসেব দেখেই বোঝা যাবে কোন চালক কতটা তেল সাশ্রয় করতে পেরেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy