Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

১১ দিনে আরও ১২

সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও মাসখানেক সময় লাগবে। গত সপ্তাহে সেই নির্দেশিকাও জারি করে তারা। এর পরেই সক্রিয় হয় রেল মন্ত্রক।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

অনির্বাণ রায়
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪৭
Share: Save:

মন্ত্রকের ‘কড়া’ নির্দেশ পেয়ে এক ধাক্কায় কমে গেল ১০ দিন।

বন্যায় বহু জায়গায় লাইন এবং সেতু ক্ষতিগ্রস্ত। কয়েকটি ট্রেন চালু হলেও বেশির ভাগই এখনও বন্ধ রয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল তাই জানিয়েছিল, তিন সপ্তাহের (অর্থাৎ ২১ দিন) আগে সেতু ও লাইন সংস্কার সম্ভব নয়। কিন্তু রেল মন্ত্রক থেকে জানানো হয়, যাত্রী নিরাপত্তা বজায় রেখে দ্রুত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে হবে। মন্ত্রকের এই মনোভাব জানার পরে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ১১ দিনের মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ প্রায় স্বাভাবিক হয়ে যাবে। চলতে শুরু করবে বাতিল থাকা ১৫ জোড়ার মধ্যে ১২ জোড়া ট্রেনই।

বিহারের আড়ারিয়ায় তেলতা সেতু এবং সেতুতে ওঠার রাস্তা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। দুটোই সংস্কারের কাজ চলছে। যার জেরে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের তো বটেই, গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের রেল যোগাযোগ দীর্ঘ সময় ধরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পুজোর আগে থেকে জরুরি ভিত্তিতে কয়েক জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করে। পরে ধাপে ধাপে আরও কিছু ট্রেন চলাচল শুরু হয়। যদিও এখনও অন্তত ১৫ জোড়া ট্রেন বন্ধ রয়েছে।

সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও মাসখানেক সময় লাগবে। গত সপ্তাহে সেই নির্দেশিকাও জারি করে তারা। এর পরেই সক্রিয় হয় রেল মন্ত্রক। যে ভাবেই হোক যাত্রী নিরাপত্তা বজায় রেখে দ্রুত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে হবে বলে নির্দেশ আসে মন্ত্রক থেকে। তার পরেই নতুন নির্দেশিকা জারি করে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। সেখানে বলা হয়, ১৬ অক্টোবর থেকে তিস্তা তোর্সা, ২০ অক্টোবর থেকে পাহাড়িয়া এক্সপ্রেস-সহ ১২ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হবে।উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি শর্মা বলেন, ‘‘প্রথম দিন থেকেই দ্রুত রেল যোগাযোগ শুরু করার চেষ্টা চলছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।’’

রেলের নতুন ঘোষণাও কিন্তু পুরোপুরি স্বস্তি দিতে পারেনি যাত্রীদের। উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো কয়েকটি ট্রেন কবে থেকে চলবে, তা জানাতে পারেনি রেল। তবে মন্ত্রকের চাপের ফলে যে ভাবে দ্রুত ট্রেন চলাচল শুরুর কথা জানিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল, তাতে প্রশ্ন উঠেছে যাত্রীদের একাংশের মধ্যেই। তাঁরা বলছেন, আগে আরও একটু বেশি তৎপর হলে এত দিনে কি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতো না?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE