Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

হামলার পরে ওসিকে বদলি সাহেবগঞ্জে

কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমার সাহেবগঞ্জ থানার এই ওসি বদলির নির্দেশ ঘিরে পুলিশের অন্দরে আলোড়ন পড়েছে। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, সাহেবগঞ্জে জুয়ার রমরমা নিয়ে পুলিশের একাংশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তাদের কাছে রিপোর্ট যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১৩
Share: Save:

জুয়ার আসর বন্ধে হানা দিয়ে হামলার মুখে পড়েছিল পুলিশ। ওই ঘটনার দেড় সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কে বদলি করা হল।

কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমার সাহেবগঞ্জ থানার এই ওসি বদলির নির্দেশ ঘিরে পুলিশের অন্দরে আলোড়ন পড়েছে। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, সাহেবগঞ্জে জুয়ার রমরমা নিয়ে পুলিশের একাংশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তাদের কাছে রিপোর্ট যায়। তারজেরেই সেখানে এসডিপিও-র নেতৃত্বে অভিযান হয়। নাজিরহাটে ওই অভিযানে আক্রান্ত হন পুলিশকর্মীরা। সব মিলিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে অবশ্য বিশদে কিছু বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, “প্রশাসনিক অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়ে মন্তব্য করব না।”

পুলিশের অন্দরের অবশ্য খবর, রবিবার, ৭ জানুয়ারির ওই ঘটনা ভালভাবে নেননি পদস্থ কর্তারা। তার জেরেই ১৭ জানুয়ারি নির্দেশিকা জারি করে জেলার শুধুমাত্র ওই থানার ওসি দীপোজ্জ্বল ভৌমিককে পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে নতুন ওসি হচ্ছেন হেমন্ত শর্মা। তিনি দিনহাটা থানার সাব ইন্সপেক্টর। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সাহেবগঞ্জে নতুন থানা তৈরির এক বছরও হয়নি। এপ্রিলে নতুন থানা চালুর সময় থেকেই দীপোজ্জ্বলবাবু সেখানকার দায়িত্বে ছিলেন। নাজিরহাটে জুয়ার আসরে অভিযানের সময় তিনি নয়ারহাটে ছিলেন। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, শুধু সাহেবগঞ্জই নয় দিনহাটা, সিতাই থানার প্রত্যন্ত এলাকাতেও শীতের মরসুমে জুয়ার রমরমা শুরু হয়েছে। কালী পুজোর মরসুমের পর থেকে কোথাও যাত্রাগানের আসরকে সামনে রেখে জুয়ার আসর বসানো হয়। কোথাও বা মেলা বা জলসাকে সামনে রেখে জুয়ার কারবারে আসর বসছে।

বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের একাংশকে ‘ম্যানেজ’ করেই বেশিরভাগ এলাকায় আসর বসে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, “শাসকদলের স্থানীয় লোকদের একাংশের মদতেই ওই কারবার হচ্ছে। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায়।” দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ অবশ্য বলেন, “পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তৃণমূলের কেউ ও রকম কোনও ঘটনায় জড়িত নয়। ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।” পুলিশের এক কর্তার দাবি, নাজিরহাট কাণ্ডের পর অভিযান বাড়ানো হয়েছে। জুয়ার আসর বসানোর প্রবণতা প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছে। জেলা জুড়ে নজরদারিও বেড়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Transfer OC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE