অব্যবস্থা: বানারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মহিলা রোগীরা। নিজস্ব চিত্র
শয্যার অভাবে ঠান্ডার মধ্যে মেঝেতেই বিছানা পেতে থাকতে হয় ডুয়ার্সের বানারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ধূপগুড়ি ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ প্রায় ২৭টি চা বাগানের দেড় লক্ষ মানুষের ভরসা বানারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাত্র দশটি শয্যা আছে। তার মধ্যে পুরুষদের জন্য চারটি ও মহিলাদের জন্য ছ’টি শয্যা। নেই কোনও আলাদা প্রসূতি বিভাগ। ফলে, প্রসূতিদের ও অন্য মহিলা রোগীদের একটি ওয়ার্ডেই থাকতে হয়। শয্যার অভাবে প্রসূতিদের অনেককেই নবজাতক, নবজাতিকাদের নিয়ে মেঝেতেই থাকতে হয়।
রোগীদের এই অসুবিধার কথা স্বীকার করেন হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মীরাও। তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা তো রোগীদের কষ্টটা বুঝি। কিন্তু শয্যা না থাকলে আমরাই বা কী করতে পারি। তবে, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ত্রিশটি শয্যার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’
মেডিক্যাল অফিসার সহ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক মাত্র দু’জন। দরকার আরও তিন, চার জন চিকিৎসকের।
বানারহাটের ডুয়ার্স জাগরণ মঞ্চের কর্ণধার ভিক্টর বসু বলেন, “এলাকার লোকসংখ্যা হিসেবে বানারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ব্লক হাসপাতালে উন্নীত করা দরকার। পাশাপাশি যত দিন ব্লক হাসপাতাল না হচ্ছে, তত দিন এখানে শয্যা সংখ্যা আরও বাড়ানো খুবই প্রয়োজন।’’ তিনি জানান, এটি চা বাগান ঘেরা এলাকা। আগে চা বাগানের হাসপাতালেও দু’চার জন করে রোগী ভর্তি থাকতেন, এখন বাগানের হাসপাতালে রোগী ভর্তি থাকেন না। কাজেই চা বাগান ও সাধারণ এলাকার রোগীর চাপ বাড়ছেই বানারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর।
রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায় বলেন, “সমস্যার কথা জানি। বাগানগুলিরও ভরসা স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। শয্যা বাড়ানো জন্য স্বাস্থ্য দফতরে বলা হয়েছে। তবে, শয্যা বাড়ালেই হবে না। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শয্যা রাখার জায়গারও অভাব আছে। তাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য আরও নতুন ভবন তৈরির জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy