চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের বহির্বিভাগের লাইনে দাঁড়িয়ে কেপমারির শিকার হলেন দুই মহিলা। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বহির্বিভাগে নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি বসানো হয়েছে। রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নজরদারি। তারপরেও এমন চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রশ্ন।
এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ছেলের জ্বর নিয়ে মালদহ মেডিক্যালে বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ইংরেজবাজার থানার যদুপুরের বাসিন্দা আলিমা বিবি। তাঁর পিছনেই পেটের যন্ত্রণা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মহদিপুরের রেজিনা বিবি। টিকিট কেটে লাইনের বাইরে আসতেই তাঁরা দেখেন তাঁদের ব্যাগ কাটা। তারপরই দেখেন বড় ব্যাগের ভিতরে টাকার ছোট ব্যাগও উধাও। আলিমা বিবির দাবি, তাঁর কাছে নগদ এক হাজার টাকা এবং একটি দামি মোবাইল ফোন ছিল। রেজিনাবিবির দাবি, তাঁর ৫৮০ টাকা চুরি হয়ে গিয়েছে। ঘটনার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন মহিলারা। তাঁরা দু’জনেই ঘটনাটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। হাসপাতালের তরফে পুলিশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ঘটনাটি জানাজানি হতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন অন্য রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। রোজ বহির্বিভাগে প্রায় হাজারখানেক রোগীর ভিড় জমে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চুরি, কেপমারির ঘটনা বাড়ছে। হাসপাতালের সুপার তথা সহ অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁ বলেন, ‘‘একটি চক্র কাজ করছে বলে অনুমান। মহিলা এবং কিশোরদের সেই চক্র কাজে লাগাচ্ছে। আমরা পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি। প্রয়োজনে সিসিটিভির ফুটেজও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’’
ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, মেডিক্যালে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy