Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

বিদ্যুৎ এসেছে, তবু রাতে কুপি ভরসা

বক্সা পাহাড়ের পাথুরে জমিতে বিদুৎতের জন্য সঠিক ভাবে আর্দিং হচ্ছে না। তার উপরে বর্ষা কালে বাজ পড়তে থাকায় তারের বেশ কিছু জায়গা পুড়ে গিয়েছে। তা ছাড়া বক্সা পাহাড়ের বৈদ্যুতিক তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থায়ী কর্মী নেই।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৫১
Share: Save:

বছর খানেক আগে বিদ্যুৎ পৌঁছেছিল প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামগুলিতে। কেউ টিভি কিনেছিলেন কেউ কিনেছিলেন ফ্রিজ। বছর ঘোরার আগেই বিদুৎ বিভ্রাটের জেরে কার্যত নাজেহাল বক্সা পাহাড়ের বাসিন্দারা। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের জেরে ফের মোমবাতি, কুপি জ্বালিয়ে থাকতে হচ্ছে।

গত বছরেই বক্সা পাহাড়ের গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছয়। অভিযোগ, এ বছর বর্ষার পর থেকেই ঘন ঘন লোডশেডিং শুরু হয়। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিদ্যুৎ দফতরের সহকারী বাস্তুকার রৌনক কর। তিনি জানান, বক্সা পাহাড়ের পাথুরে জমিতে বিদুৎতের জন্য সঠিক ভাবে আর্দিং হচ্ছে না। তার উপরে বর্ষা কালে বাজ পড়তে থাকায় তারের বেশ কিছু জায়গা পুড়ে গিয়েছে। তা ছাড়া বক্সা পাহাড়ের বৈদ্যুতিক তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থায়ী কর্মী নেই। খবর পাওয়ার পরে আলিপুরদুয়ার শহর থেকে কর্মীরা যান। তাতে সময় লাগে। পাহাড়ি রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটিতে সমস্যা দেখতেও সময় লাগে। বিষয়গুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

আলিপুরদুয়ার জেলার প্রত্যন্ত এলাকা বক্সা পাহাড়। এই পাহাড়ি গ্রামগুলিতে কোনও গাড়ি যায় না। সান্তালাবাড়ি থেকে পাহাড়ি পাকদণ্ডী ধরে হেঁটে পৌঁছতে হয় ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোয়। বক্সা পাহাড়ে হোমস্টেতে থাকা এক পর্যটক জানান, রবিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল ফোন ক্যামেরার ব্যাটারি কিছুই চার্জ দেওয়া যাচ্ছে না।

দাড়াগাঁওয়ের বাসিন্দা মায়া লেপচা জানান, সপ্তাহে অধিকাংশ দিন বিদ্যুৎ থাকে না। রাতে কুপি জ্বালিয়ে থাকতে হয়। এলাকায় ছোট দোকান চালান জুনা ছেত্রী। তিনি জানান, দোকানে একটি ফ্রিজ কিনেছেন। কিন্তু বিদুৎ থাকে না অধিকাংশ সময়। এলাকার আর এক বাসিন্দা কর্ণ বাহাদুর ছেত্রী বলেন, ‘‘বহু বছর আমারা বিদ্যুৎ ছাড়া ছিলাম। কিন্তু বিদুৎ আসার পরেও হাল বদলালো না।’’ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোহন শর্মা জানান, বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। বাসিন্দাদের একাংশের আরও অভিযোগ, মাঝে মধ্যেই বিদ্যুতের খুঁটির তার পুড়ে যাচ্ছে। যথাযথ ভাবে তা জোড়া না দেওয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE