Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

উড়ো চিঠি খুনের হুমকি, ধৃত দুই

এ দিন সন্ধ্যায় প্রধাননগর থানায় গ্রেফতারের পর আনা হল অভিযুক্তদের। ধৃতিমান অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। গোবিন্দ শুধু বলেন, ‘‘আমাকে ফাঁসিয়ে দিল। আমি কিছু করিনি।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:১৫
Share: Save:

বিধায়ক, নেতাদের উড়ো চিঠি পাঠিয়ে খুনের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিলিগুড়ি পুলিশের বিশেষ দল অভিযুক্তদের বাঘাঘতীন পার্ক এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।

এক ব্যবসায়ীর টাকা ও জমি না দিয়ে উল্টো তাঁকে ফাঁসানোর জন্য অভিযুক্তরা এই কাজ করেছিল বলে পুলিশের দাবি। প্রতিটি চিঠিতে খুনের হুমকি ছাড়াও ৫ লক্ষ টাকা চেয়ে ওই ব্যবসায়ীর দু’টি ব্যাঙ্ক নম্বর দেওয়া হয়েছিল। সেই সূত্র ধরে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে পুলিশ অভিযুক্তদের সন্ধান পায়। ইতিমধ্যে শহরের বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য, কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার, বিজেপি-র জেলা সভাপতি প্রবীণ অগ্রবাল, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং বিজেপি নেতা মনোজ দেওয়ান ওই উড়ো চিঠি পেয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ধৃতিমান বর্মন এবং গোবিন্দ বর্মন। তাদের বাড়ি কোচবিহারের তুফানগঞ্জে। ধৃতিমান কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের কাজ করেন। গোবিন্দ বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ঋণের লেনদেনের এজেন্ট। শিলিগুড়ির শহরের বাঘাযতীন পার্কে দু’জন বাড়ি ভাড়া করে থাকেন। ধৃতদের ভাড়া বাড়ি থেকে কম্পিউটার, প্রিন্টার মিলেছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নেতাদের বাড়িতে পরপর ওই চিঠি আসা শুরু হয়। শিলিগুড়ি থানা এবং প্রধাননগর থানা মিলিয়ে বিশেষ টিম তৈরি হয়। আইসি মনোজিৎ সরকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি পরীক্ষার পর ওই মাছ ব্যবসায়ীকে জেরা শুরু করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর জমির বিষয়টি সামনে আসে।

শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি (পশ্চিম) তরুণ হালদার, ডিসি (পূর্ব) গৌরব লাল জানান, পুরোপুরি ওই ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর জন্য চক্রান্ত করা হয়েছিল। আজ, শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে। আরও বেশ কয়েক জনকে অভিযুক্তরা একই ধরনের চিঠি পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে। সেগুলি দেখা হচ্ছে।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, এক বছর ধরে ওই মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে চম্পাসারির একটি জমি নিয়ে তাদের গোলমাল চলছিল। প্রায় ১ একর জমির ব্যবস্থা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্তরা ৪৩ লক্ষ টাকা নেয়। পরে রেজিস্ট্রি করানোর কথা বলে আরও ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। কিন্তু জমি হাতবদল করা হচ্ছিল না। ওই ব্যবসায়ী এর পরে টাকা ফেরত চান। তা নিয়ে কয়েক মাস ধরে টানাপোড়েন চলছিল। শেষে ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যবসায়ীকে উল্টো ফাঁসানোর চক্রান্ত করে অভিযুক্তরা।

এ দিন সন্ধ্যায় প্রধাননগর থানায় গ্রেফতারের পর আনা হল অভিযুক্তদের। ধৃতিমান অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। গোবিন্দ শুধু বলেন, ‘‘আমাকে ফাঁসিয়ে দিল। আমি কিছু করিনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Police Murder Threatning youth Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE