মৃত: সুজয় মজুমদার ও মলয় বিশ্বাস
সাড়ে দশটার মধ্যে স্কুলে তাঁর আসা চাইই। কোনও কারণে যদি স্কুলে আসতে দেরি হয়, তবে তা প্রধান শিক্ষক মহম্মদ জিয়াউদ্দিন হককে মোবাইলে ফোন করে জানাতে ভুলতেন না। বিশেষ করে সোমবার। সে দিনই ডোমকলের বাড়ি থেকে বাসে স্কুলে আসতেন। রাস্তায় যানজটে পড়লে বাস দেরি করত। তা হলেই ফোনে সে কথা জানাতেন প্রধানশিক্ষককে। এমনই তাঁর নিয়মানুবর্তিতা।
কিন্তু সোমবার দেরি হয়ে গেলেও কালিয়াচক ৩ ব্লকের বৈষ্ণবনগরের বীরনগর ম্যানেজড প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক সুজয় মজুমদারের (২৪) ফোন আসেনি। প্রধান শিক্ষকের সন্দেহ হয়। দুপুর দু’টোয় জানতে পারেন, সুজয় সেই বাসেই ছিল। শেষে, বিকেল তিনটে নাগাদ সুজয়ের বাড়ি মারফতই জানতে পারেন, সুজয় আর নেই! স্কুলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষকেরা। পড়ুয়াদেরও অনেকে তা শুনে কান্না জুড়ে দেন। স্কুল ছুটি দিয়ে তখনই শিক্ষকরা রওনা দেন বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গত বছরেরই ১৪ ফেব্রুয়ারি বীরনগর ম্যানেজড প্রাইমারি স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন সুজয়বাবু। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলের শীতলনগর কুপিলা গ্রামে। বিয়ে করেননি। চাকরি পেয়ে বৈষ্ণবনগরের চামাগ্রামে একটি মেসবাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
একই দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে কালিয়াচক ৩ ব্লকেরই আর এক প্রাইমারি স্কুল লক্ষ্মীপুর পালগাছি ম্যানেজডর সহকারী শিক্ষক মলয় বিশ্বাসের (৩৭)। গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি এই স্কুলে কাজে যোগ দেন। বাড়ি নদিয়ার করিমপুরের নাটনা গ্রামে। তিনি বৈষ্ণবনগরের টাউনশিপে একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকতেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আখতার আহমেদ বলেন, সরস্বতী পুজো করবেন বলে ছুটি নিয়েছিলেন। এ দিন স্কুলে আসার কথা ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy