কয়েক মাস আগেরই ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে কিশোরী মেয়েকে নিয়ে ডার্বি ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা সোনালি সেন। হাফটাইমে বাথরুমের খোঁজে হাসপাতালের কাছে সুলভ শৌচালয়ে গেলেও পুরুষদের ভিড়ে ঢুকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি। জলে ভেসে যাওয়া বাথরুম, সিগারেটের গন্ধ দেখে এগোননি সোনালিদেবী। শেষে, স্টেডিয়ামের কাছে এক পরিচিতকে বলে বাথরুম ব্যবহার করেন।
তিনি বলেছিলেন, শহরে এত সুলভ শৌচালয় কিন্তু মহিলাদের জন্য আলাদা কোথাও ব্যবস্থা নেই। যে ক’টিতে মহিলারা যেতে পারেন, সেগুলোতে ঢোকাটাই সমস্যা। পরিস্কার, পরিচ্ছন্নতার সমস্যা তো রয়েছেই। অনেক সময় মহিলা কর্মীরা থাকেন না। পুরসভা-প্রশাসনের বিষয়টি দেখা দরকার।
শিবমন্দির থেকে নিয়মিত শিলিগুড়িতে কম্পিউটার শিখতে আসেন দুই তরুণী। তাঁরা জানান, কলেজপাড়ার সেন্টারে থাকলে তো সমস্যা নেই। কিন্তু রাস্তায় প্রয়োজনে সুলভগুলোও ব্যবহার করতে হয়। মহিলাদের জন্য আলাদা ঢোকা-বার হওয়ার রাস্তা, সব সময়ের মহিলা কর্মী রাখলে ভাল নয়। অনেক মহিলার বক্তব্য, ‘‘অনেকেই পরিচিতদের বাড়ি, অফিস বা হোটেলে প্রয়োজনে শৌচায়ল ব্যবহার করে। শহরের অন্তত দু’টি মহিলাদের আলাদা শৌচালয় করা দরকার।’’
বিষয়টি শুনেছেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, ‘‘মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা সত্যিই দরকার। সুলভ অনেক রয়েছে। কিন্তু খুব সমস্যায় না পড়লে মহিলারা নানা করণে সেগুলিতে ঢুকতে চান না বলেই শুনি। বিষয়টি আমাদের মাথায় রয়েছে।’’
একাধিক সুলভ শৌচাগারের ছড়াছড়ি শিলিগুড়ি শহরে। কোনওটা পুরসভার করা, কোনটা আবার পূর্ত দফতরের। কোনটা এসজেডিএ-র টাকা। উদ্ধোধনের মুখেও রয়েছে, অন্তত আরও দুটি শৌচলায়। কংগ্রেসের কাউন্সিলর সীমা সাহা জানান, জলপাইমোড়ের শৌচালয়টিতে মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিষ্কার থাকায় অনেকেই ব্যবহার করেন। কিন্তু একেবারে মহিলাদের জন্য আলাদা কিছু নেই। এটাও শিলিগুড়ির মতো বাড়তে থাকা শহরে দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy