সুরাহা: দূষণ কমাতে শহরের ভরসা বৃষ্টি। ফাইল চিত্র
দু’দিনের জন্য হলেও পাহাড় কিছুটা স্বস্তি দিল শিলিগুড়িকে। অতি দূষিত বাতাসে নাকে ঢোকেনি শহরবাসীর, বিকেলের রাস্তায় হাঁটতে চোখও জ্বালা করেনি। পাহাড়ের বৃষ্টি ধুইয়ে দিয়েছিল শিলিগুড়ির বাতাসের দূষণ। অন্তত দু’দিনের জন্য হলেও কম থাকল শিলিগুড়ির বায়ু দূষণের মাত্রা।
এমনিতে দূষণের নিরিখে শিলিগুড়ির দেশের প্রথম পাঁচ শহরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। অন্তত জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রকাশিত দৈনন্দিন রিপোর্টে তেমনটাই দেখা যায়। গত শুক্রবারের রিপোর্টের নিরিখে শিলিগুড়ির ছিল দেশের তৃতীয় দূষিত শহর। শিলিগুড়ির থেকে বেশি দূষিত ছিল গুরুগ্রাম এবং গাজিয়াবাদ। গত সোমবার থেকে দূষণের মাত্রা কমতে থাকে। সে দিন থেকে পাহাড়ে শিলাবৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। সমতলেও ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। তারই প্রভাব পড়েছিল শিলিগুড়ির বাতাসে। পরদিন মঙ্গলবার দূষণের মাত্রা এতটাই কমে যে শিলিগুড়ির বাতাসকে ‘সন্তোষজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়। এই স্বস্তি যে নেহাতই সাময়িক ছিল, তার প্রমাণ হয়ে গিয়েছে বুধবারই। এ দিন থেকে ফের দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে।
শিলিগুড়ি কলেজে ভূগোলের বিভাগীয় প্রধান দর্শনচন্দ্র বর্মন বলেন, ‘‘বৃষ্টির জলে বাতাসের দূষিত কণাগুলোর বেশিরভাগই দ্রবীভূত হয়ে যায়। তাতে দূষণ কমে।’’ এই কারণে মুম্বই এবং চেন্নাইতে দূষণের মাত্রা সব সময়েই কম। সমুদ্র থেকে জলীয় বাতাস প্রতি মুহূর্তেই দুই শহরের বাতাস ভিজিয়ে দেয়।
শিলিগুড়ির দূষণের পরিমাণ বাড়তেই থাকায় দুশ্চিন্তায় পরিবেশবিদরা। পরিবেশ বিশেষজ্ঞ সুভাষ দত্ত শিলিগুড়িতে এসে দূষণ নিয়ে একটি সমীক্ষা চালান। জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ৯ মার্চ শিলিগুড়ি পিছনে ফেলে দেয় দিল্লি, নয়ডা, কানপুর, অমৃতসর মতো শহরকেও। দেশের ৫৭টি শহরের বায়ু দূষণের মাত্রা নিয়ে প্রতি সন্ধ্যায় রিপোর্ট প্রকাশ করে পর্ষদ। সুভাষবাবুর কথায়, ‘‘শিলিগুড়ির শহরের জঞ্জাল পরিষ্কার, নিকাশি ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে। রাস্তায় যানজট কমাতে হবে, কারণ গতি না থাকলে যান বেশি করে দূষণ ছড়ায়।’’
বুধবার বৃষ্টি হয়নি পাহাড়-সমতলের কোথাও। এ দিন দূষণের মাত্রা ছিল মঙ্গলবারের থেকে অনেকটাই বেশি। বৃষ্টি না হলে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ফের দূষণের মাত্রায় বাড়ার আশঙ্কায় শিলিগুড়ি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy