আকুতি: স্বপ্নের নায়ককে একবার ছোঁয়ার চেষ্টা। বালুরঘাটে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে থেকে দেখে উদ্বেল জনতা। ছবি: অমিত মোহান্ত
শনিবার ভোর পাঁচটা। ভিড়ে থিকথিক করছে মালদহ টাউন স্টেশন। কারও হাতে ফুলের তোড়া, কারও হাতে ক্রিকেট ব্যাট। সোয়া পাঁচটা বাজতেই স্টেশনের মাইকে ঘোষণা হল ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকছে পদাতিক এক্সপ্রেস। স্টেশনের ভিড়টা হুড়মুড়িয়ে এসে জড়ো হল সেখানে। পদাতিক এক্সপ্রেস প্ল্যাটফর্ম ছুঁতেই ‘‘দাদা, দাদা’’ চিৎকারে কান পাতা দায়। প্রায় তখনই নীল টি শার্টে ট্রেন থেকে মুচকি হেসে হাত নাড়লেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ও বর্তমান সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। চ়ড়ল উচ্ছ্বাসের মাত্রা।
ইচ্ছে থাকলেও সৌরভের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিতে পারেননি ভক্তরা। স্কুল ছাত্র দ্বৈপায়ন লালা সৌরভের সই নেওয়ার জন্য ব্যাট নিয়ে এসেছিল। সৌরভের কাছে যেতে পারলেও নিরাপত্তা এবং ভিড়ের কারণে তার ইচ্ছেপূরণ হয়নি। সেই আক্ষেপও চাপা পড়ে গিয়েছে সৌরভকে এক ঝলক দেখার আনন্দে। পুলিশের আধিকারিকেরাও উচ্ছ্বসিত ছিলেন সৌরভের ট্রেন সফর ঘিরে। রেল পুলিশ ও ইংরেজবাজার থানার এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘টিভির পর্দাতেই তাঁকে দেখেছি। মহারাজকে এতো কাছ থেকে কখনও দেখতে পাবো, ভাবতেই পারেনি।’’
মালদহের মাটিতে এই প্রথম পা দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্ল্যাটফর্ম থেকে স্টেশনের মূল গেট পর্যন্ত হেঁটে আসেন তিনি। পিছু নেন ভক্তরা। ভিড় সামাল দিতে কার্যত হিমসিম খেতে হয় কর্তব্যরত পুলিশ কর্তাদের।
শনিবার বালুরঘাটে নিজের মূর্তি উদ্বোধন ও নানা কর্মসূচিতে আসেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা থেকে পদাতিকে মালদহ এসে সেখান থেকে সড়ক পথেই বালুরঘাটে যান সৌরভ।
প্রচণ্ড গরমের জন্য এ দিন দুপুরে ভাত খাননি সৌরভ। রাতে রাইখরের পদ ও দেশি মুরগির মাংসের ব্যবস্থা হলেও চিকেন স্যান্ডউইচ খেয়ে সামান্য মাছের পদ চেখে দেখেন। রাত ৯টা নাগাদ বালুরঘাট ছেড়ে মালদহ স্টেশন থেকে দার্জিলিং মেল ধরতে রওনা হন তিনি। রাতেও উৎসাহে কমতি ছিল না। সার্কিট হাউসের পাশে রাস্তায় ছিল মানুষের ঢল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy