ভিড়: নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যুবককে। নিজস্ব চিত্র
বহুতল বাড়ি থেকে নিচে পড়ে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে শহরে চাঞ্চল্য ছড়াল। মঙ্গলবার ভোরে প্রধাননগর থানার গুরুঙ্গবস্তি বাজার এলাকার একটি বহুতলের গেটের সামনে দেহটি পড়েছিল। তার মাথায় ও ঘাড়ে চোট ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বাড়িটির চারতলার ছোট রেলিং দেওয়া ছাদ থেকে তিনি পড়ে গিয়েছিলেন না কি তাকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল তা পুলিশ দেখছে। পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নীতেশ তামাঙ্গ (১৯)। আপার পেদং এলাকায় তার বাড়ি। এলাকার স্টেশনারি দোকান-সহ নানা জিনিসের ব্যবসা রয়েছে। পেদং কলেজে তিনি প্রথম বর্যের ছাত্র ছিলেন। সম্প্রতি বাইক দুর্ঘটনায় জখম হন। পায়ে সেলাইও ছিল। শিলিগুড়িতে চিকিৎসার জন্য এসে বন্ধুদের কাছে থাকতেন। দিন দু’য়েক আগে শহরে এসে ওই বহুতলে তিন বন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। এ দিন ভোরের দিকে জোর আওয়াজ ও চিৎকার শুনে বন্ধুরা ঘুম থেকে উঠে ছুটে যান। নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় নীতেশকে দেখে বাড়ির মালিককে ডেকে তোলেন।
ছাত্রটির বন্ধুদের দাবি, ভোরে নীতেশ বাথরুমে যাওয়ার জন্য উঠেছিল বলে সবাই ভাবে। পরে আওয়াজ ও চিৎকার শোনা যায়। কোনভাবে পা হড়কে ও পড়ে যেতে পারে। বহুতলের অন্যতম মালিক শিব চৌরাসিয়া বলেন, ‘‘আগেও এসেছে। কোনও গোলমাল টের পাইনি।’’ ঘটনার তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিসি (সদর) ইন্দ্র চক্রবর্তী।
এই ঘটনার পরে ওই এলাকার পরিবেশ নিয়ে ক্ষোভ জানান কয়েকজন বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, ছোট ছোট পান দোকান, চায়ের ঠেক ছাড়াও বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ড্রাগ, টাবলেট, গাঁজা রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে। আরএসপি-র কাউন্সিলর রাজভজন মাহাতো বা লাগোয়া ওয়ার্ডের সিপিএমের কাউন্সিলর মুকুল সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘এলাকার পরিবেশ নষ্ট হতে বসেছেন। পুলিশের হেলদোল নেই।’’ তৃণমূল নেতা তথা চম্পাসারি পথিপার্শ্বত্থ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মদন ভট্টাচার্য এবং জয়প্রকাশ চহ্বান বলেন, ‘‘পুলিশ সক্রিয় না হলে তো মুশকিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy