আন্দোলন: দুর্নীতির অভিযোগে রাস্তায় পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দিন তিনেক আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন একদল ছাত্র-ছাত্রী। এ বার রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করলেন তাঁরা। সোমবার সকালে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ তুলে ইংরেজবাজার শহর জুড়ে মিছিল করে লিফলেট বিলি করল ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিকবার ছাত্র বিক্ষোভ হলেও রাস্তায় নেমে আন্দোলন নজিরবিহীন। যদিও পড়ুয়াদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি সম্পর্কে মালদহের মানুষের জানা উচিত। তাই শহর জুড়ে মিছিল করে লিফলেট বিলি করা হয়েছে।
গত তিন মাস ধরে একাধিকবার খবরের শিরোনামে এসেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। কখনও পরীক্ষাসমূহের তৎকালীন নিয়ামক সনাতন দাসের ইস্তফা নিয়ে, আবার কখনও সহকারী রেজিস্ট্রার অচিন্ত্য বিশ্বাসের নিগ্রহ নিয়ে। ঘেরাও-বিক্ষোভের ঘটনাও প্রায়ই ঘটছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। এ বার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন একদল ছাত্র-ছাত্রী। তাঁদের অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ৩০ শতাংশ আসন শূন্য থাকলেও তা পূরণে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। যার ফলে উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেকে।
শুধু তাই নয়, পড়ুয়াদের অভিযোগ, ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় বিভিন্ন স্কলারশিপের সুযোগ মিলছে না ছাত্র-ছাত্রীদের। মার্কশিটের জন্য ১০০ টাকা এবং শংসাপত্রের জন্য ১২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। যদিও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই অর্থের পরিমাণ খুবই কম। বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক বিষয়ে অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ তুলে এ দিন সকাল আটটা থেকে ইংরেজবাজারের নেতাজি মোড়ে জমায়েত হন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। সেখানে পথসভা করার পর মিছিল করে পুরো শহর পরিক্রমা করেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পথচলতি মানুষদের হাতে লিফলেট তুলে দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীরা। তাঁরা বলেন, মালদহে প্রশাসনিক সভায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। তাই আমরা ওনার নজরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি গুলি আনতে চাই। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপাল মিশ্র বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে কারা কি করল তা আমার জানা নেই। তবে এইটুকু বলব ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোনও অনিয়ম হয়নি”। অধ্যাপকদের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়কে বদনাম করার জন্য পড়ুয়াদের মদত দিচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, “আড়ালে থেকে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। তা আমি কখনও হতে দেব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy