সুব্রত বক্সী। ছবি: সংগৃহীত
কর্মঠদের বঞ্চিত করে, তোষামোদকারীদের দায়িত্ব দিলে ফল ভাল হবে না বলে দলের জেলা নেতাদের হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। সোমবার কোচবিহার ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ২১ জুলাইয়ের প্রচারে এসে দলের কর্মীদের সতর্ক করেন তিনি। সে সময় তাঁর পাশে ছিলেন জেলার সমস্ত নেতাই।
সুব্রতবাবু বলেন, “নেতার স্ত্রীকে যিনি স্কুটারে করে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আসবেন, বা ছেলের চুল কাটাতে নিয়ে যাবেন তাঁকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হবে। আর যারা পরিশ্রম করে দল করছেন, তাঁদের জায়গা হবে না। এটা হতে পারে না। মনে রাখবেন দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব নজর রাখছেন।”
শুধু তাই নয়, তৃণমূলে যোগ দিয়ে যারা অল্পদিনের মধ্যে ফুলেফেঁপে উঠেছেন তাঁদেরও সতর্ক করেন। বলেন, “একসময় যার কিছুই ছিল না সে এখন তিনটি গাড়ির মালিক। ভাবছেন কেউ কিছু বুঝতে পারছেন না। মনে রাখবেন মানুষ সব খেয়াল রাখছেন। দলও সব নজর রাখছে।” তাঁর বক্তব্য, অনেকেই দলে এসে দলকে ব্যবহার করে নিজেদের আখের গোছানোর চেষ্টা করছেন। তাঁদের থেকেও সতর্ক থাকতে হবে। গোটা রাজ্যের মতো কোচবিহারেও দলের এক শ্রেণির নেতা-কর্মী অল্প সময়ের মধ্যে বহু টাকার মালিক হয়ে উঠেছেন বলে তাঁদের দাবি।
দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “অনেক সময় দেখা যায় গুরুত্বপূর্ণ কর্মী কোনও কারণে জায়গা পাননি। পুরনো কর্মীরা অনেকে বসে গিয়েছেন। তাঁদের নিয়েই কথা বলেছেন রাজ্য সভাপতি। আর দলীয় পদ ঠিক হয় রাজ্য থেকে।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “অঞ্চল থেকে জেলায় তৃণমূলের এমন নেতার ছড়াছড়ি। কয়েক বছর আগেও যারা সাইকেল নিয়ে ঘুরতেন এখন ঘন ঘন চার চাকা কিনছেন। বাড়ি-ঘর পাল্টে গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে শাসক দলের নেতারা কর্মী-সমর্থকদের গরম বক্তব্য শুনিয়েই সব জয় করতে চান। এ বারে তা হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy