২০১৯ সালের লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে শনিবারই বিজেপিকে রুখতে একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছে কংগ্রেস। রবিবার মালদহে ঠিক সেই একই সুরে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল ও বিজেপি দু’দলকে রুখে দেওয়ার বার্তা দিলেন বিধানসভায় সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। এ দিন প্রথমে চাঁচলের রবীন্দ্রভবনে সভা করেন তিনি। বিকেলে মালদহের সানাউল্লা মঞ্চে কর্মিসভা করেন। তবে দু’টি সভার কোনওটিতেই কংগ্রেসের নাম করেননি। তিনি বলেছেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে রুখতে হবেই এবং পাশাপাশি বিজেপিও যেন সুযোগ না পায় সেটাও দেখতে হবে। তাই এই দু’দলকে পরাজিত করতে বাম দলগুলিকে যেমন এক করতে হবে তেমনি ধর্মনিরপেক্ষ অন্য দলগুলির সঙ্গেও বোঝাপড়া করতে হবে।’’
পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলকে শক্তিশালী করতে এ দিন সকাল ১০টায় প্রথম কর্মিসভা হয়েছে চাঁচল রবীন্দ্রভবনে। সেখানে চাঁচল মহকুমার ছ’টি ব্লকের কর্মীরা হাজির ছিলেন। জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রভবনে এ দিনের ভিড় দেখে খুশি সুজনবাবু। বিকেলে জেলার বাকি ৯টি ব্লকের কর্মীদের নিয়ে সভা হয় মালদহের সানাউল্লা মঞ্চে। এখানেও ভর্তি ছিল হল। সুজনবাবু কর্মীদের বলেন, ‘‘২০১৬ সালে মালদহের মানুষ ১২টি আসনেই তৃণমূলকে ঘেঁষতে দেয়নি। তার আগে গত পঞ্চায়েতেও তৃণমুলের প্রায় একই হাল হয়েছিল। কিন্তু জবরদখলের রাজনীতি করে তৃণমূল মালদহ জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে অনেক পঞ্চায়েত সমিতি বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের থেকে দখল করে নেয়।’’
পরে সাংবাদিকদের কাছেও সুজনবাবু বলেন, ‘‘এ বারের পঞ্চায়েতে আমাদের একটাই লক্ষ্য, যে কোনও মূল্যে তৃণমূল ও বিজেপিকে রোখা। তবে পঞ্চায়েত ভোটে দলের ওপর থেকে কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয় না। নিচুতলার নেতা-কর্মীরা নিজেরাই যেখানে যেমন প্রয়োজন রয়েছে সেখানে সমমনোভাবাপন্ন দলের সঙ্গে বোঝাপড়া করে নেয়।’’
সুজনবাবুর তৃণমূলকে আক্রমণ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘উনি কী বোঝাতে চাইছেন যে ভালো মানুষ শুধু বামফ্রন্টেই আছে। বামেরা যদি এতই ভালো মানুষ হবেন, তাহলে মানুষ ওদের ছুঁড়ে ফেলে দিল কেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy