প্রতীকী ছবি।
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। আর তা দেখে মাথায় হাত দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাপরিষদের সভাধিপতি, সহকারি সভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষ-সহ শাসক দলের একগুচ্ছ হেভিওয়েট প্রার্থীর। সমস্যায় পড়েছেন বেশ কিছু বাম প্রার্থীরাও। সংরক্ষণের গেরোয় পড়ে নিজেদের পুরনো আসন বদলে যাওয়ায় এই সমস্যা।
কোনও আসন আগে যে কারণে সংরক্ষিত ছিল এখন অন্য কারণে সংরক্ষিত হয়েছে। যার জেরে সমস্যার পড়েছেন আগেরবারের জয়ী প্রার্থীরা। তবে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ওই তালিকা সম্পর্কে আপত্তি, অভিযোগ জানাতে পারবে রাজনৈতিক দলগুলো। বালুরঘাটের প্রশাসনিক ভবনে এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বিশেষ সেল খোলা হয়েছে।
তৃণমূল পরিচালিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের ১৮টির মধ্যে ১টি আসনে ভোট হয়নি। বাকি ১৭টি আসনের মধ্যে ২০১৩-র ভোটে ১৩টিতে তৃণমূল প্রার্থীরা জেতে। সিপিএম জেতে ৪টি আসনে। খসড়া তালিকা থেকে দেখা গিয়েছে, সভাধিপতি ললিতা টিগ্গা, সহকারি সভাধিপতি কালীপদ সরকার, তৃণমূল সদস্য শুভাশিস পাল ওরফে সোনা পাল, জেলাপরিষদের বিরোধী নেতা সিপিএমের মোফাজ্জল হোসেন কেউই এ বার ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। পাশাপাশি কুশমন্ডি, গঙ্গারামপুর, বালুরঘাট, হিলি ব্লকে জেলাপরিষদের আসনগুলোতেও সংরক্ষণের জেরে আসন অদল বদল হওয়ায় নিজেদের জেতা আসনে দাঁড়াতে পারবেন না অধিকাংশ তৃণমূল প্রার্থী।
কুশমন্ডি ব্লকে ২টি আসনে সংরক্ষণের জেরে দাঁড়াতে পারবেন না বর্তমান কর্মাধ্যক্ষ সুনন্দা বিশ্বাস ও নীলিমা রায়। হরিরামপুরের ২টি আসনেও একই কারণে তৃণমূল সদস্য সোনা পাল ও সিপিএম সদস্য সাহনাজ পারভিন দাঁড়াতে পারছেন না। বিপাকে পড়েছেন বংশীহারি ব্লকের তৃণমূল এবং সিপিএমের দুই জয়ী সদস্যও। হিলির একটি মাত্র আসনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ কুণ্ডুও দাঁড়াতে পারবেন না। গতবারের ভোটে বালুরঘাটের তিনটি আসনে জেতে তৃণমূল। সংরক্ষণের গেরোয় আসন নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন কর্মাধ্যক্ষ মনোরমা দাস, বিশ্বনাথ পাহানেরাও। সংরক্ষিত আসন তালিকা খুঁটিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে শাসকত দলের পক্ষ থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy