অসমাপ্ত: ধূপগুড়ির পার্কের কাজ শেষ হয়নি। নিজস্ব চিত্র
বিনোদন পার্ক কবে শেষ হবে তা বলতে পারছেন না পুর কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালের মার্চে ধূপগুড়ি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের থানা রোডে বিনোদন পার্কের কাজ শুরু হলেও কাজ থমকে আছে প্রায় এক বছর ধরে। বিনোদন পার্কের জন্য ১২ কোটি টাকার খরচ ধরা হলেও প্রথমে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে কাজ শুরু হয়। পরে আরও কিছু টাকা এলেও সেই টাকা বাস টার্মিনাস নির্মাণে খরচ করা হয় বলে বিগত পুরসভা বোর্ডের সূত্রে জানা যায়। সেই টাকা বিনোদন পার্ক তৈরির জন্য এখনও ফেরত পায়নি পুরসভা। কী কারণে এখনও সেই টাকা ফেরত আসেনি তার উত্তর নেই পুরসভার কাছে।
থানা রোডে দক্ষিণায়ন ক্লাবের পিছনে ছিল এক বিশাল জলাশয়। প্রায় ৪ একর জলাশয়ের সিংহভাগ বুজিয়ে বিনোদন পার্কের কাজ শুরু করে বিগত পুর বোর্ড। পার্কে বোটিং, ঝর্না-সহ শিশু ও সব বয়সী মানুষের জন্য বিনোদনমূলক উপকরণ ও খাবারের রেস্তোরাঁ ও অতিথি নিবাস তৈরির কথা ছিল। সেই মতো জলাশয় বুজনো ও অতিথি নিবাস তৈরির কাজ অনেকটা এগিয়েছিল। কিন্তু, এখন হাতে কোনও টাকা না থাকায় কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।
ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিংহ জানান, “কাজ শেষ করার জন্য পুর দফতরে আরও ১০ কোটি টাকা দাবি করে ফাইল পত্র পাঠানো হয়েছে। সেই টাকা বরাদ্দ হলে ফের পার্ক তৈরির কাজ শুরু হবে।” পুর দফতর সূত্রে জানা যায়, আগে যে টাকা দেওয়া হয়েছিল তার হিসেব পাওয়া গেলে ফের টাকা বরাদ্দ করা হবে।
প্রায় ৮ মাস আগে টাকা চেয়ে ফের কাগজ পত্র পুর দফতরে পাঠানো হলেও টাকা কবে মিলবে তা কেউ জানেন না। অন্য দিকে বর্তমান পুর বোর্ড শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে গ্রিন সিটি পার্ক তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। গ্রিন সিটি পার্কের জন্য ৪৪ লক্ষ টাকার বরাদ্দও পেয়েছে পুরসভা। আরও টাকার জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, আগে শুরু করা বিনোদন পার্কের কাজ শেষ না করে ২ নম্বর ওয়ার্ডের পার্ক তৈরির কাজ আমরা মেনে নেব না। অনেকে বিনোদন পার্কের জন্য পাওয়া টাকার কাজ নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ করেন। কিন্তু পুরসভা জানায়, টাকা বরাদ্দ হয়ে গেলে দু’টি পার্কের কাজই হবে। এই নিয়ে ১৩ নম্বরের বাসিন্দাদের ক্ষোভের কোনও কারণ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy