সামিল: শিলিগুড়িতে তৃণমূলের মিছিল হিলকার্ট রোডে। বুধবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
পাহাড়ের আন্দোলন, বাংলা ভাগের চক্রান্তের বিরোধিতা এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো’ কর্মসূচি পালনে শিলিগুড়িতে মহামিছিল করল তৃণমূল।
১৪ হাজারেরও বেশি লোকের মিছিলটি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে হাসমি চক, হিলকার্ট রোড ধরে এসে মাল্লাগুড়ির খুদিরাম মূর্তির কাছে শেষ হয়। তৃণমূলের দাবি, যদি মিছিলটি দলের তরফে ডাকা হয়েছিল, তবে বহু সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগ দিয়েছেন।
এর আগে বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে একাধিক মিছিল দেখেছে শিলিগুড়ি। কিন্তু তার বেশির ভাগই ছিল মূলত অরাজনৈতিক মিছিল। প্রথম বার সোশ্যাল মিডিয়ায় ডাক দেওয়া হলে বেশ কয়েক হাজার লোক হাজির হন। তার পরে আলোচনা করে মিছিল করা হয়। সেটিতে হাজার তিরিশের বেশি লোক হয়েছিল। তার ঠিক পরপরই সিপিএমের তরফে একটি মিছিল হয়।
এত দিন পরে শুধু মিছিলই করল না তৃণমূল, দলের দার্জিলিং জেলার সভাপতি গৌতম দেব শেষ অবধি মিছিলে হাঁটলেনও। এবং এই প্রথম কোনও মিছিলকে দার্জিলিং মোড় পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ। এমনিতেই এক দিক আটকে মিছিলের ফলে শহরে ভালই যানজট হয়। তার উপরে দার্জিলিং মোড় অবধি গেলে সেই জট ছড়াতে পারে, সেই আশঙ্কায় মাল্লাগুড়িতেই মিছিল শেষ করে দেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরদের অধিকাংশই ছিলেন এ দিনের মিছিলে। গৌতম দেব বলেন, ‘‘দেশ বাঁচাও কর্মসূচির কথা ২১ জুলাই-ই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেটা তো কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, সর্বত্রই হচ্ছে।’’ তিনি জানান, পাহাড়কে অশান্ত করার বিরুদ্ধে অরাজনৈতিক ভাবে এর আগে মানুষ পথে নেমেছে। তৃণমূলের তরফে রাজনীতিগত ভাবেও মিছিল, মিটিং পথসভা করে তা প্রতিরোধ করা হবে। দেবীডাঙা, শালুগাড়া, নকশালবাড়ি সর্বত্রই মিছিল, সভা হবে। সমতলে গোলমাল করার চেষ্টা করলে সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করা হবে বলে তিনি জানান।
সরাসরি না বললেও পাহাড়ের কেউ কেউ মানছেন, এত বড় মিছিল দেখার পরে মোর্চা নেতৃত্বের উপরে চাপ বাড়তে বাধ্য। বিমল গুরুঙ্গরা বারবার বলেছেন, সমতলে, বিশেষ করে তরাই-ডুয়ার্সে তাঁরা আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে চান। এই অংশকে পাশে চান তাঁরা। এর মধ্যে জয়গাঁ সংলগ্ন এলাকায় মোর্চার তরফে মিছিল, অবরোধ করা হয়েছে। যদিও নকশালবাড়িতে মিছিল করতে গিয়ে বাধা পেয়েছে মোর্চা। শিলিগুড়িতে অরাজনৈতিক মিছিল দেখার পরে চাপ তৈরি হচ্ছিলই। এ বার তা আরও বাড়ল।
গৌতমও এ দিন কার্শিয়াঙে সংবাদমাধ্যমের গাড়ি পোড়ানোর সমালোচনা করে বলেন, সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তার উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। পাহাড়ে তালিবানি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy