জট: রোলের দোকানের লাইনে এমনই অবস্থা ছিল রাস্তার। বুধবার, রায়গঞ্জের বিদ্রোহী মোড়ে। নিজস্ব চিত্র
দোকানের প্রতিষ্ঠা দিবস। তাই ৫০-৬০ টাকার এগরোল, মটন বা চিকেন রোল সবই পাওয়া যাচ্ছিল ১০ টাকায়। আর তা খেতে উৎসাহীদের ভিড়ও ছিল দেখার মতো। দোকানের সামনে রাস্তা ধরে পঞ্চাশ মিটার লম্বা লাইন পড়ে যায়। আর তাতেই থমকে যায় যান চলাচল। বুধবার এমনই ছবি ছিল রায়গঞ্জের বিদ্রোহী মোড়ে। তবে অভিযোগ, দুপুর ৩টে থেকে দীর্ঘক্ষণ এই পরিস্থিতি চললেও এবং তা নিয়ে পুলিশকে জানানো হলেও তাদের কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। তাতে শহরের ওই অংশে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিষয়টি জেনে পুলিশকে ফোন করেন পুরপ্রধান। তার পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়।
রায়গঞ্জ শহরের ব্যস্ততম এলাকা বিদ্রোহী মোড়। ওই রাস্তা দিয়ে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ দফতরের ডিপোয় সব সময়েই গাড়ি যাতায়াত করছে। ওই রাস্তা দিয়েই রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান বাসিন্দারা। রায়গঞ্জ হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তাও সেটি। সেই বিদ্রোহী মোড়ে ওই রোলের দোকানে এ দিন সস্তায় খাবার কিনতে উৎসাহীদের ভিড় ছিল দেকার মতো। কয়েকশো লোকের লাইন পড়ে যায় রাস্তার একাংশে। যা দেখে প্রথমে অনেকে ঘাবড়ে গেলেও পরে বিষয়টি জেনে কেউ হেসেছেন। কেউ বা এমন দৃশ্য মোবাইলে ছবি তুলে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
কয়েকজন আবার পুলিশকে ফোন করেন। যানজটের কারণ শুনে তারাও প্রথমে বুঝে উঠতে পারেনি। পরে পুলিশ আধিকারিকেরা জানান, তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
দোকানের মালিক নিরুপম বসাক বলেন, ‘‘দোকানের বর্ষপূর্তি হল। তাই চিকেন, মটন সমস্ত রোলই ১০ টাকার বিক্রি করা হয়। উৎসাহীরা ভিড় করতে পারেন বলে পুলিশকে জানানো হয়েছিল। তারা সিভিক পুলিশ দেবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু তা না দেওয়ায় সমস্যা হয়।’’
ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়, সমস্যা জেনেই পুলিশ পাঠানো হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় ছিল। লোকের চাপে ভিড় সামলাতে না পেরে ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে দিলে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy