প্রতীকী ছবি।
পিকনিকে যাওয়ার জন্য কোনওভাবেই পিক আপ ভ্যান, ট্রাক বা অন্য পণ্যবাহী গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না। এমনই নিষেধাজ্ঞা জারি করল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ৷ পিকনিকে যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনা এড়াতেই এই নিষেধাজ্ঞা বলে জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ির সব থানাতেই এই নির্দেশ চলে গিয়েছে৷
জলপাইগুড়িতে সরকারি তালিকা অনুযায়ী ৪১টি পিকনিক স্পট রয়েছে৷ কিন্তু ওই তালিকার বাইরেও বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে বাসিন্দারা পিকনিক করতে যান৷ প্রতিবছর শীতের মরসুমে ভিড় জমে ওই পিকনিক স্পটগুলোতে৷ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও জলপাইগুড়ির বাইরে থেকেও অনেকে এসব জায়গায় স্পটগুলোতে পিকনিক করতে আসেন৷ অনেকক্ষেত্রেই বিভিন্ন পণ্যবাহী গা়ড়ি ব্যবহার করা হয়। এই তবি বন্ধ করতেই উদ্যোগী হয়েছে জেলা পুলিশ।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘পিকনিকের যাতায়াতের সময় অনেকক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটে। তাই সকলের নিরাপত্তার কথা কথা মাথায় রেখেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷’’ যেখানে লরি, ভ্যানে চেপে সবাই একসঙ্গে পিকনিকে যাওয়ার চল রয়েছে। সেখানে কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল জেলা পুলিস?
জেলার পুলিশ কর্তাদের কথায়, অনেক সময়ই দেখা যায় পণ্যবাহী এই গাড়িগুলোতে চেপে পিকনিকে যাতায়াতের সময় কেউ কেউ নাচ-গানে এতটাই মত্ত থাকেন যে দুর্ঘটনার সম্ভবনা তৈরি হয়৷ অতীতের একাধিক ঘটনায় এমন কিছু অভিজ্ঞতাও রয়েছে৷ আর তাই এই নিষেধাজ্ঞা৷
জেলার পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, পণ্য পরিবহনের গাড়িতে পিকনিক করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার এই নির্দেশ ইতিমধ্যেই জেলার সব থানাতেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ প্রতিটি থানার কর্তাদেরকে বিষয়টি পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও মালিকদের জানিয়ে দিতেও বলা হয়েছে৷ সেই নির্দেশ অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ি কোতোয়া লিথানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন৷ সেখানে বিষয়টি তাঁদের বুঝিয়ে বলা হয়৷
এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির আইএনটিটিইউসি নেতা মিঠু মোহান্ত। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি বছর অনেকে পিকআপ ভ্যানে চেপে পিকনিকে যান, অসাবধানতায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে৷ পুলিশ প্রশাসনের তরফে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটা ভাল৷’’ এই নিয়ে জেলাজুড়ে মাইকে প্রচার চালানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy