Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

জেলে শিক্ষক চন্দনা সস্মিতা

জেলের অন্দরেই উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য নিজেকে তৈরি করছিল মালতী। ইতিমধ্যে শিশু পাচারের অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার হয় চন্দনা চক্রবর্তী৷ পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ করে গত মার্চ মাস থেকে এই সংশোধনাগারেই মালতির সঙ্গে একই ওয়ার্ডে রয়েছেন তিনি৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:৪০
Share: Save:

চন্দনা চক্রবর্তী পড়িয়েছেন বাংলা৷ আর সস্মিতা ঘোষ ইংরেজি৷ শিশু পাচারে অভিযুক্ত এই দুই ‘শিক্ষিকা’র কাছে পড়েই জেলে বসে রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিচ্ছে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সাত আবাসিক। এদের মধ্যে রয়েছে ২০১৫ সালের মাধ্যমিকে জেলবন্দী মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান পাওয়া মালতি রাজভর৷ তাই এ বারও নজরে রয়েছে এই ছাত্রী।

জেলের অন্দরেই উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য নিজেকে তৈরি করছিল মালতী। ইতিমধ্যে শিশু পাচারের অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার হয় চন্দনা চক্রবর্তী৷ পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ করে গত মার্চ মাস থেকে এই সংশোধনাগারেই মালতির সঙ্গে একই ওয়ার্ডে রয়েছেন তিনি৷ শিশু পাচারের একই মামলায় গ্রেফতার সস্মিতা ঘোষও মার্চ মাস থেকেই কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি৷ তিনিও রয়েছেন মালতীরই ওয়ার্ডে।

সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, মালতীর পড়াশোনার ক্ষেত্রে এই দু’জনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন৷ গত দুই-তিন মাস ধরে মালতিকে নিয়মিত বাংলা পড়িয়েছেন ময়নাগুড়ি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা চন্দনা৷ আর ইংরেজি পড়িয়েছেন জলপাইগুড়ির প্রাক্তন শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সস্মিতা৷

সংশোধনাগারের সুপার শুভব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমিও এমনটাই শুনেছি মালতিকে চন্দনা বাংলা ও সস্মিতা ইংরাজি পড়া দেখিয়ে দিতেন৷” আবাসিক পরীক্ষার্থীদের বাইরের স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও পড়িয়েছেন বলে তিনি জানান।

মালতি-সহ সংশোধনাগারের ওই সাত আবাসিকই মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষাতেই উর্ত্তীর্ণ হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তবে কেন তারা রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন?

সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, দেরি হয়ে যাওয়ায় কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন করা যায়নি। পরবর্তীতে জেলকর্তারা রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ে এই সাতজনের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে চান৷

কিন্তু সেখানেও রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে খানিকটা দেরি হওয়াতে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে কেবল তিনটি বিষয়েই পরীক্ষা দিতে পারবেন এই সাতজন৷ বাকি তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা তাদের সামনের বছর দিতে হবে বলে সংশোধনাগারের কর্তারা জানিয়েছেন৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE