অসহায়: ডাম্পারে আটকে রয়েছে দেহ। —নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দু’জন। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়াল চরম উত্তেজনা। চলল অবরোধ। সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে উঠল তোলাবাজির অভিযোগও।
বুধবার মালদহের গাজোলের ঘাকশোলের ঘটনা। এ দিন ভোরে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় একটি ডাম্পারের। ভোর সা়ড়ে চারটে নাগাদ আটা বোঝাই একটি ট্রাক গাজোলের ঘাকশোল এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়েছিল। সেসময় মালদহ থেকে যাওয়া পাথর বোঝাই একটি ডাম্পার ট্রাকটির পিছনে ধাক্কা মারে। সেই ধাক্কায় ট্রাকটি রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে নেমে যায়। কোনওরকমে রক্ষা পেলেও পালিয়ে যায় ট্রাক চালকরা। গাড়িতেই আটকে পড়েন ডাম্পারের চালক ও খালাসি।
ঘটনাস্থলে যাওয়া স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য আরএসপি-র বিকাশ সাহা বলেন, ‘‘স্থানীয়রা ডাম্পারে আটকে থাকা একজনকে বের করে গাজোল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মারা যান তিনি।’’ তাঁর অভিযোগ, পুলিশকে খবর দেওয়া সত্ত্বেও তাঁরা দেরি করে আসায় আরেকজন দীর্ঘক্ষণ গাড়িতেই আটকে ছিলেন এবং পরে মারাও যান। ডাম্পারের চালক ও খালাসির পরিচয় এখনও উদ্ধার করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিভিক ভলান্টিয়াররা তোলা নেওয়ার জন্য ট্রাকটিকে দাঁড় করানোতেই এমন বিপত্তি ঘটেছে। তোলাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছে গাজোল থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে দেরিতে আসার অভিযোগও মানা হয়নি পুলিশের তরফে। যদিও জেলা পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ জানিয়েছেন, সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
দুর্ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। গাজোলের ঘাকশোলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে সকাল দশটা পর্যন্ত চলে অবরোধ। তাঁদের অভিযোগ, দুর্ঘটনা ঘটার অনেক পরে এসেছে পুলিশ। উদ্ধারকাজে ঢিলেমির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, দেরিতে উদ্ধার শুরু হওয়া ডাম্পারের মধ্যে আটকে থেকেই মারা গিয়েছেন একজন।
এ দিন ব্যাপক যানজট হওয়ায় দিনভরই নাকাল হন যাত্রীরা। যানজটের জেরে বামনগোলা হয়ে মালদহে আসতে গিয়ে এ দিন সকালেই এনবিএসটিসির একটি বাস ও একটি ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় হবিবপুরের আইহোতে। সেই ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁদের চিকিত্সা চলছে মালদহ মেডিক্যালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy