প্রতিবাদ: মালবাজারে পথ অবরোধ পড়ুয়াদের। —নিজস্ব চিত্র।
দুই স্কুল ছাত্রীকে চড় মারার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার পাঁচ ঘণ্টা শিলিগুড়িগামী পূর্ত সড়ক অবরোধ করে রাখল গজলডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। মালবাজার থানা এলাকায় নিজেদের স্কুলের সামনেই পথ অবরোধ করে তারা।
মঙ্গলবার তিস্তা ব্যারাজ লাগোয়া এলাকায় একটি যাত্রীবাহী গাড়িকে আটক করে পুলিশ। ওই গাড়ির ছাদে ও পাদানিতে বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে পড়ুয়ারা বাড়ি ফিরছিল বলে পুলিশের অভিযোগ। পড়ুয়াদের নামিয়ে গাড়িটিকে মালবাজার থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেই সময় কী ভাবে তারা বাড়ি ফিরবে সেই প্রশ্ন তোলায় পুলিশ দুই ছাত্রীকে চড় মারে বলে অভিযোগ। মালবাজার থানার ওসি সনাতন সিংহ ওই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। ছাত্রীদের চড় মারার ঘটনায় বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ কোনও মামলাই দায়ের করেনি বলে নালিশ পড়ুয়াদের।
এরপরেই শুক্রবার অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও স্কুল থেকে মিলনপল্লী টাকিমারির পথে আরও যাত্রীবাহী গাড়ি চালানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ শুরু হয়। স্কুলের গেটেও তালা ঝুলিয়ে দেয় পড়ুয়ারা। তাদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত গাড়ি নেই বলেই ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হয় তাদের। সেটা না বুঝেই ওই দিন গাড়ি আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। প্রতিবাদ করায় ছাত্রীদের চড় মারা হয়েছিল। মালবাজার থানা ও ক্রান্তি ফাঁড়ির বড় বাহিনী এসেও এ দিন অবরোধ তুলতে ব্যর্থ হয়। পরে মালবাজারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশিস চক্রবর্তী, যুগ্ম বিডিও শ্রীকান্ত লো, এবং মেটেলি ও নাগরাকাটা থানার দুই ওসির উপস্থিতিতে পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠক হয়। এসডিপিও দেবাশিস চক্রবর্তী নিজে পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন। যুগ্ম বিডিও আরও বেশি গাড়ি যাতে চলাচল করে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন। তারই ভিত্তিতে অবশেষে বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ অবরোধ উঠে যায়। পুলিশ ছাত্রীদের চড় মেরেছে কী না তাঁর তদন্ত করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এসডিপিও দেবাশিসবাবু পরে জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy