কান ধরে ওঠবস করানো হচ্ছে মালদহের যুবককে। নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরে এলে সরকার পাশে দাঁড়াবে। সেই ভরসাতেই মালদহ জেলা প্রশাসনের দফতরে কাজের আবেদনপত্র জমা দেওয়া শুরু করেছেন ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরে আসা শ্রমিকেরা। আর তা করতে গিয়েই সোমবার হেনস্থার শিকারও হলেন সামসির বাসিন্দা মতিউর রহমান। অভিযোগ, মতিউরকে মালদহের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক তপনকুমার মল্লিক কান ধরে ওঠবস করার ‘শাস্তি’ দিয়েছেন।
মালদহেরই আফরাজুল খানকে সম্প্রতি কুপিয়ে খুন করা হয়েছে রাজস্থানে। তারপরেই ভিন্ রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন, জেলার এমন অনেকেই ফিরে আসতে থাকেন। ফিরে আসা শ্রমিকদের জন্য সরকারের যে ‘সমর্থন প্রকল্প’ রয়েছে, তা অবশ্য এই জেলায় নেই। তবে সরকারের ভরসাতেই তাঁরা কাজের খোঁজে রোজ সকালে মালদহ শহরের প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে আবেদন দিতে শুরু করেছেন। সেই ভিড় রোজই বাড়ছে। এ দিন প্রায় পাঁচ হাজার জন আবেদন করতে এসেছিলেন। বেলা বাড়লে গোলমাল শুরু হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক আর বিমলা নিজেই লাইন সামলাতে নেমে পড়়েন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তপনবাবুও। তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ডাকতে হয় পুলিশকেও।
এর কিছু পরেই মতিউর তপনবাবুর কাছে যান। মতিউর দাবি করেন, তাঁর আবেদনটি যে নেওয়া হয়েছে, তার কোনও প্রমাণ সরকারের তরফে দেওয়া হয়নি। এরপরেই তপনবাবু তাঁকে নিজের দফতরে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ। এমনকী, মতিউরকে কানধরে ওঠবস করানো হয় ও একটি ঘরে তাঁকে তালাবন্দি করে রেখে দেওয়া হয়। মতিউর বলেন, “আমাকে কান ধরে দাঁড় করি য়ে ওঠবস করানো হয়। ঘরে বন্দি করে রাখা হয়।”
তপনবাবু এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। বিমলা বলেছেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত হবে।’’ ভিড় সামাল দিতে বাড়তি কাউন্টার খোলা হবে আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সব আবেদনই খতিয়ে দেখা হবে। জেলার কোনও না কোনও কাজে যাতে কাজ দেওয়া যায়, তা নিশ্চয়ই দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy