Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বৃষ্টিতে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু

টানা বৃষ্টিতে ভেঙে পড়া দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। শুক্রবার সকালে হুড়া থানার কুসুমজোড়িয়া গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতা চম্পা মাহাতোর (৭০).বাড়ি ওই গ্রামেই। প্রশাসন সূত্রের খবর, নিম্নচাপ শুরু হওয়ার পরে গত তিনদিনে জেলায় বাজ পড়ে কয়েকজনের মৃত্যু হলেও এই প্রথম বৃষ্টির কারণে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আদ্রা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৫ ০২:৫০
Share: Save:

টানা বৃষ্টিতে ভেঙে পড়া দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। শুক্রবার সকালে হুড়া থানার কুসুমজোড়িয়া গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতা চম্পা মাহাতোর (৭০).বাড়ি ওই গ্রামেই। প্রশাসন সূত্রের খবর, নিম্নচাপ শুরু হওয়ার পরে গত তিনদিনে জেলায় বাজ পড়ে কয়েকজনের মৃত্যু হলেও এই প্রথম বৃষ্টির কারণে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ির পিছনে কুয়োয় স্নান করছিলেন ওই বৃদ্ধা। সেই সময়ে কুয়ো লাগোয়া পাশের বাড়ির রান্নাঘরের দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়লে চাপা পড়েন তিনি। পুলিশ গিয়ে চম্পাদেবীকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতার ভাই হরেকৃষ্ণ মাহাতো জানান, টানা বৃষ্টিতে রান্নাঘরের কাঁচামাটির দেওয়াল নরম হয়ে ভেঙে পড়েছে।

এ দিকে নিম্নচাপের জেরে বৃহস্পতিবার রাতেও টানা বৃষ্টি হয়েছে জেলা জুড়ে। তবে শুক্রবার সকাল থেকে আবহাওয়া কিছুটা পরিষ্কার হয়। কিন্তু দুপুরের পর থেকেই ফের বৃষ্টি শুরু হয়েছে জেলার একাংশে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ব্লকগুলি থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জেলার ২০টি ব্লকের মধ্যে ১৩টি ব্লকেই বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এগুলির মধ্যে রঘুনাথপুর মহকুমার ছ’টি ব্লকের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি ব্লক: কাশীপুর, রঘুনাথপুর ২, নিতুড়িয়া, সাঁতুড়ি, পাড়া ব্লক। জেলার ক্ষতিগ্রস্ত অন্য ব্লকগুলি হল: পুরুলিয়া ১ ও ২, হুড়া, ঝালদা ২, বরাবাজার, বান্দোয়ান, বাঘমুণ্ডি ও জয়পুর। প্রশাসন সূত্রের খবর, বৃষ্টির কারণে জেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১,০১২টি গ্রামে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৫০,১৪৫টি। পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১,০০০ কাঁচা বাড়ি, আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৭,০৯০টি বাড়ি। বৃষ্টিতে ৫১০ হেক্টর জমির শস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে চাষের বেশি ক্ষতি হয়েছে হুড়া ব্লকে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঁচ হাজার ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সবুজবরণ সরকার বলেন, ‘‘আরও ১০ হাজার ত্রিপলের অনুমোদন মিলেছে। আমরা দ্রুত সেগুলি ব্লকে-ব্লকে পাঠিয়ে দেব। বিডিওরা পঞ্চায়েতের সাথে আলোচনা করে তা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে দেবে।” পাশাপাশি বড় কোনও দুর্ঘটনার জন্য রঘুনাথপুরের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে তৈরি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE