প্রতীকী চিত্র।
রাস্তা থেকে বেশ কিছুটা দূরেই ছিল ট্রাক। কিন্তু পিচ রাস্তা থেকে বেশ কয়েক মিটার ডান দিকে নেমে গিয়ে কী ভাবে বিশ্বনাথবাবুর গাড়িটি ট্রাকটির পিছনে ধাক্কা মারল, তা নিয়েই ধন্ধ তৈরি হয়েছে।
পুরুলিয়া মফস্সল থানার বিড়গিড়ি গ্রামে এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাকের পিছনের অংশে আটকে যাওয়া ছোটগাড়িটিকে সদ্য ক্রেন দিয়ে টেনে বের করে আনা হয়েছে। তখনও ভিতরে আটকে যাত্রীদের দেহ। রক্ত চারপাশে। থমথমে মুখে জটলা বাসিন্দাদের।
কিন্তু রাস্তা ছেড়ে কেন গাড়িটি পাশে নেমে গেল, তা নিয়েই নানা ব্যাখ্যা ঘুরছে লোকজনের মুখে।
তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, হয় প্রচণ্ড গতিতে থাকায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। নয়তো বা চালক ঘুমিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন। অথবা আচমকা মোবাইল ধরতে গিয়েও এ রকম ঘটে থাকতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটেছিল, তা বোঝার এখনই কোনও উপায় নেই। যে মহিলা চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাঁর এ দিন জ্ঞান ফেরেনি।
তবে, স্থানীয় মানুষজনের ক্ষোভ, এই এলাকায় রাস্তার ফুটপাথ দখল করে লরি, ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে যান চলাচলে অসুবিধা হয়। এ দিন দুর্ঘটনার পরেই রাস্তার পাশে ফুটপাথ জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি ট্রাক দ্রুত এলাকা থেকে সরে পড়ে। বাসিন্দারা দাবি তোলেন, রাস্তার পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মালবাহী গাড়ি দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না।
তবে পুলিশের একাংশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে তদন্তে যেটুকু জানা যাচ্ছে, এ দিন কিন্তু দুর্ঘটনার জন্য ওই ট্রাককে বিশেষ দোষ দেওয়া যায় না। তবে রাস্তা যতটা সম্ভব নিরাপদ রাখা যায়, সে দিকে তাঁদের নজর রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy