বাতিল ২৮ জন প্রাথমিক শিক্ষককে ফের কাজে ফেরাল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নির্দেশক্রমে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকার ইতিমধ্যেই কাজে যোগ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়ে অন্যান্য নবনিযুক্ত শিক্ষকদের মতো নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছিলেন ওই ২৮ জন শিক্ষকও। গত গত ১১ ফেব্রুয়ারিতে কাউন্সেলিংয়ের পর ১৪ ফেব্রুয়ারি নিযোগপত্র পেয়ে নির্দিষ্ট স্কুলে যোগ দিয়ে দিন পনেরো ক্লাসও করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু হঠাৎ-ই ২ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিযুক্ত ওই শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করে দেয় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদের তরফে বলা হয়েছিল রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নির্দশেই এমন পদক্ষেপ। কারণ তাঁরা যে প্যারাটিচার বা আদার্স ক্যাটাগরিতভূক্ত দেখিয়ে তাঁরা কাজে যোগ দিয়েছেন তাঁরা সেই ক্যাটাগরিভূক্ত তাঁরা নন।
নিয়োগপত্র বাতিলের পর ক্ষোভ ফেটে পড়েন শিক্ষকেরা। নাজ পারভিন, দীপান্বিতা গড়াই, প্রদীপ সাহা, আরাধনা চৌধুরীদের দাবি ছিল, আবেদন পূরণ থেকে নিযোগপত্র হাতে পাওয়া পর্যন্ত কখনও তাঁরা কোথাও নিজেদেরকে প্যারাটিচার বা অন্য পর্যায়ভূক্ত দেখিয়ে চাকরি পাননি। অথচ কোনও কারণ ছাড়াই সংদস তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে। প্রতিবাদে আইনের পথে হাঁটেন ২২ জন শিক্ষক। আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বাতিল শিক্ষকদের হয়ে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা করেন। সেই মামালার রায় আসা বাকি। তার আগেই ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে ফের বাতিল শিক্ষকদের নিয়োগপত্র ধরায় ১৮ এপ্রিল।
কেন এমন ভোলবদল। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংদসদের সভাপতি রাজা ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের নির্দেশ এসেছে যেহেতু আদালতে মামলাটি বিচারাধীন তাই রায় আসা পর্যন্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা তাঁদের কাজ চালিয়ে যান। সেই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে। এবং আদালতের রায়ের সাপেক্ষে তাঁদের নিয়োগপত্রের ভবিষ্যত নির্ভর করছে সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে।’’
ফের নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষক শিক্ষিকাদের কথায়, ‘‘এটা নিজেদের দোষ ঢাকার ছুঁতো ছাড়া কিছু নয়। আমরা তো সংসদের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে গিয়েই মামলা করেছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy